চুল পড়ার কারণ সহ সহজ সমাধান - Hair Fall Solution Tips in Bengali

আপনার চুল কি খুব ঝরে পড়ছে ? জেনে নিন কারণ ও সহজ সমাধান। 

   বর্তমানে চুল পড়া সমস্যাটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের মধ্যে ব্যাপকভাবে দেখা দিচ্ছে। প্রধানত প্রাকৃতিক পরিবর্তন, আবহাওয়া, পরিবেশ দূষণ এবং আধুনিকতার কারণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়। তবে চুল পড়ার যেমন প্রাকৃতিক কারণ রয়েছে তেমনি ​কিছু স্বাস্থ্য সমস্যাও রয়েছে। যেমন জীন গত সমস্যা, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, থাইরয়েড, শরীরে পুষ্টির অভাব কিংবা মাথায় রক্ত চলাচল সঠিক ভাবে না হওয়া।

 চুল পড়াটা মাঝে মাঝে খুব বড় আকার ধারণ করতে পারে। এক্ষেত্রে কখনো মাথায় টাক পড়ে যাওয়ার মতন বড় সমস্যাও দেখা যায়। অত্যধিক চুল পড়ার ফলে পুরুষদেরক্ষেত্রে অধিক মাথার তালুর চুল কমতে দেখা যায়, মহিলাদের ক্ষেত্রে টাক পড়ার মতো লক্ষণ কম দেখা গেলেও তাদের চুলের দৈর্ঘ্য পাতলা হয়ে যায় কিংবা সিঁথি ফাঁকা হয়ে যায়। তবে শুধু বোড়োদের মধ্যে না, এই চুল পড়ার সমস্যা এখন শিশুদের মধ্যেও সাধারণ ভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।

প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টি চুল পড়লে সেটি স্বাভাবিক, কিন্তু এর থেকে বেশি পরিমানে চুল পড়লে সেটিকে চুল পড়ার সমস্যা হিসেবে ধরা হয়। মূলত বালিশের কভারে কিংবা স্নানের তোয়ালেতে যদি চুলের আধিক্য লক্ষ্য করা যায় তবে বুঝবেন যে আপনি অত্যাধিক চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন এবং সে ক্ষেত্রে চুলের পরিচর্যার দিকে নজর দিতে হবে এবং যদি এই পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়, আপনাকে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে। কারণ, শুধু বাহ্যিক কারণেই চুল পরে না, কিছু শারীরিক কারণেও চুল পরে। চুল পড়ার কারণগুলি একবার দেখে নিন ----


চুল পড়ার কারণসমূহ ---

১) চুল পড়ার অন্যতম কারণ হল জেনেটিক বা বংশানুক্রমিক। যদি একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে কোনও পুরুষ বা মহিলার চুল পড়ার সমস্যা লক্ষ্য করা যায় এবং যদি ধীরে ধীরে এই সমস্যাটি তাদের সন্তানদের মধ্যেও দেখা যায় তবে এটি একটি বংশানুক্রমিক রোগ হিসাবে বিবেচিত হয়।

২) অনেক সময় দেখা যায় সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে মহিলাদের চুল পড়ার সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এরূপ সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা অত্যধিক বৃদ্ধি পেলে প্রয়োজনে ডাক্তারের সাহায্য নেওয়া দরকার

৩) এই চুল পড়ার সমস্যাটি সাস্থের অস্বাভাবিকতার কারণেও হয়। উদাহরণস্বরূপ, কোনও ধরণের অসুস্থতা বা অপারেশনের (ক্যানসার) পরে চুল পড়া বৃদ্ধি পায়। এই ক্ষেত্রে, চুল খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় না এবং যে পরিমানে চুল ঝরে পরে তার সাথে পাল্লা দিয়ে নতুন চুল গজাতে পারে না। তবে শরীর সুস্থ হয়ে উঠলে এবং ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দিলে এই সমস্যাটির সমাধান হতে পারে।

৪) শরীরে হঠাৎ হরমোনের পরিবর্তন ঘটলেও চুল ওঠার সমস্যা দেখা দিতে পারে। মূলতঃ গর্ভাবস্থা, প্রসব বা মাসিক বন্ধ হওয়ার পর কিংবা অত্যধিক জন্মনিয়ন্ত্র বরি খেলে মহিলাদের চুল ওঠার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫) থাইরয়েড, অ্যালোপিয়া কিংবা মাথার তালুতে দাদ এর মতন রোগ দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে চুল ঝরার সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে, মূলতঃ মাথার ত্বক সংক্রমিত হলেই এই সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এতে ভয়ের কারণ নেই, ডাক্তারের পরামর্শ নিলে খুব কম দিনেই এর সমাধান করা সম্ভব।

৬) ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, বাত কিংবা হৃদপিন্ডের সমস্যা কারণে কোন ওষুধ দীর্ঘদিন খেলেও চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি দীর্ঘদিন মানসিক চাপ এ ভুগলেও চুল ওঠা তরান্নিত হয়।

৭) অত্যধিক উদ্বেগ বা হঠাৎ ট্রমা বা ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যার কারণে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় এবং এর ফলে চুল পড়ার সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তবে এই সব ক্ষেত্রে শুধু চুল পড়া সমস্যাই বাড়ে না, শরীরের সর্বত্র চুল পাতলা হতে শুরু করে, যেমন ভ্রু, চোখের পাতা সোহো শরীরের সমস্ত জায়গায়। এটি মূলত চুলের ফলিকলে পুষ্টির অভাবের কারণে হয় যার ফলে চুল ধীরে ধীরে পাতলা হতে শুরু করে।

আরও পড়ুন - স্ত্রীকে কিভাবে আদর করবো?

চুল পড়ার লক্ষণ বা উপসর্গ :

চুল পড়ার সমস্যা আরও বেশি মাত্রায় বেড়ে গেলে বেশ কয়েকটি উপসর্গ লক্ষণীয়। এটিকে কেবল একটি সাধারণ সমস্যা নয় একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আপনি আপনার শরীরে এই উপসর্গগুলি লক্ষ করেছেন কিনা তা একবার দেখুন ---

১) মাথার সামনের দিকে এবং তালুতে প্রচুর চুল উঠে গিয়ে চুলের পরিমাণ ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে শুরু করেছে। মাথার পিছন থেকে চুল আঁচড়ানোর সময় এই অংশের তালু চিরুনি দ্বারা বেশি আঘাত পাচ্ছে।

২)  মাথার মাঝখানে কালো দাগ বা দাদের মতো মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে।

৩)  চুল পড়ার পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গেছে।

৪) মাথার চুল এবং ভ্রু বা চোখের পাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

৫) মাথার ত্বকের অধিক শুষ্কতা খুশকির সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে।

এই সমস্যা গুলি যদি অধিক মাত্রায় লক্ষ্য করা যায় সে ক্ষেত্রে চুলের যত্ন নেওয় অত্যাবশক। এক্ষেত্রে, এই সমস্যাগুলি ব্যাপক আকার নিলে তা কেবল ঘরোয়া প্রতিকারে নিরাময় হবে না তাই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেতে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে সঠিক সময়ে চুল পড়া রোধ করা যায়। কারণ চুল পড়া অনেক ধরনের হয়, তাই চুল পড়ার ধরণ বুঝে সেই মতো চুল পড়া বন্ধ করার জন্য সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।

চুল পড়া থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায় --

    চুল পড়া যেমন একটি গুরুতর সমস্যা, তেমনই আমাদের কাছে এই সমস্যার সমাধানও রয়েছে। চুল পড়ার সমস্যাটি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে ওঠে কারণ আমরা শুরু থেকেই এটি সম্পর্কে গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করি না। আসুন জেনে নিই কীভাবে আপনার বাড়ির সামগ্রী দিয়ে হারিয়ে যাওয়া চুল পুনরুদ্ধার করা যায়, অর্থাৎ সহজেই চুল পড়া এড়িয়ে নতুন চুল গজানো যায়।

১) নারকেলের দুধ দিয়েই করুন চুলের যত্ন:


চুলের পরিচর্যার জন্য একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল নারকেলের দুধ। নারকেলের দুধ চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য অন্যতম উপাদান। নারকেলের দুধ সব থেকে বিশুদ্ধ এবং এর মধ্যে কোন রাসায়নিক উপাদান না থাকার কারণে এটি কোনো সাইড-ইফেক্ট ছাড়াই চুলকে তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিয়ে থাকে। এছাড়াও, নারকেলের দুধ চুলে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনকে দ্রুত করে তোলে এবং চুলকে গভীরভাবে পুষ্টি দেয়।

কি কি উপাদান প্রয়োজন?

    • নারকেল – ১টি
    • শাওয়ার ক্যাপ – ১ টি

কিভাবে ব্যবহার করবেন ?

নারকেলের বিশুদ্ধ দুধ বাজারে যে কোন দোকানেই প্যাকেটে কিংবা গুঁড়ো কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্যাকেটজাত নারকেল দুধ ব্যবহার না করে খুব সহজ পদ্ধতিতে ঘরেই নারকেলের দুধ বানিয়ে নেওয়া যায়।

    • একটি নারকেল নিয়ে নারকেলের সাদা অংশটি আলাদা ভাবে বের করে রাখুন।
    • এরপর একটি পাতলা, পরিষ্কার সাদা কাপড় নিয়ে তার মধ্যে নারকেলের সাদা অংশ টি গুঁড়ো করে একসাথে রেখে কাপড়টি শক্ত করে বেঁধে চেপে চেপে সেই নারকেল থেকে দুধ বের করে নিন।
    • এরপর একটি কাপের এক চতুর্থাংশ (১/৪ অংশ) নারকেলের দুধ নিয়ে সেটি হালকা গরম করে নিন।
    • তারপর হালকা গরম হওয়া নারকেলের দুধটি মাথার ত্বকে ১৫ মিনিট ধরে হাতের আঙ্গুল দিয়ে ভালো করে মালিশ করুন।
    • মালিশ করা হয়ে গেলে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত নারকেলের দুধ লাগিয়ে ৪৫ মিনিটের জন্য তা রেখে দিন এবং মাথায় একটি শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে রাখুন।
    • ৪৫ মিনিট পর আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তা দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে পারেন।

এর ফলে কি হবে?

সপ্তাহে একবার এটি করলে কয়েক বার ব্যবহার এর পরেই চুলের Quality-এর পার্থক্য বুঝতে পারবেন। এটি চুলকে উন্নত ও পুষ্টিসম্পন্ন করার পাশাপাশি চুলকে আরো নরম এবং মসৃণ করবে।

২) নিম পাতা দিয়ে চিরকালের জন্য চুল পড়া কমান :


    প্রাচীন যুগ থেকেই চুল পরিচর্যায় অন্যতম উপাদান হিসেবে নিমের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। আয়ুর্বেদেও নিমকে চুলের বৃদ্ধি এবং চুল পরিচর্যার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিম পাতা এবং নিম গাছের ছালে উচ্চমাত্রায় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে তা মাথার ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। কেননা মাথার ত্বক সুস্থ থাকলে তবেই চুলের বৃদ্ধি ভালোভাবে হবে। মূলতঃ যারা পাতলা চুল কিংবা টাক পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে নিম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নিম, মাথার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন বন্ধ করে চুলের গোড়াকে শক্ত করতে সাহায্য করে। তেলের সাথে নিম পাতার রস মিশিয়ে মাথায় মাসাজ করলে মাথার রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও মাথার ত্বকের ওপর শুধু নিম পাতা পেস্ট করে লাগালে তা মাথার ত্বকের ফুসকুড়ি, খুশকি, উকুনের সমস্যা, শুষ্ক ত্বক কিংবা অন্য কোন সমস্যা থাকলে তা নিরাময়ে দারুন সহায়তা করে।

কি কি উপাদান প্রয়োজন?

  • নিমপাতা – ১০-১২ টি
  • নারকেল তেল – পরিমানমত
বেস্ট আন্টি-হেয়ারফল সাপও ও ক্রিমস -

1. https://amzn.to/3CMlzuI   - 799 টাকা 
2. https://amzn.to/3i7z543    - 625 টাকা
3. https://amzn.to/3D4CGbx  - 428 টাকা
4.https://amzn.to/3uh2AFz    - 379 টাকা
5. https://amzn.to/3m5m6RE  - 557 টাকা
6. https://amzn.to/3iaSTDS   -  229 টাকা
7. https://amzn.to/3CPvIHc   -  147 টাকা
8. https://amzn.to/2Y0TfpC   - 877 টাকা
9. https://amzn.to/3ocpf58    -  399 টাকা
10. https://amzn.to/3m2XDwr  - 337 টাকা
11. https://amzn.to/2XQdkPg   - 120 টাকা
12. https://amzn.to/3kJR8PF  -  135 টাকা
13. https://amzn.to/3zI0bEZ  - 196 টাকা

কিভাবে ব্যবহার করবেন ?

  • নিম পাতা বেটে নিয়ে তারপর মিশ্রণটি  ভালো করে  চেপে চেপে নিম পাতার নির্যাস কোনো একটি পাত্রে বের করে নেবেন।
  • তারপর নির্যাসটি নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে তা মাথার ত্বকে এবং পুরো চুলে হাতের আঙ্গুল দিয়ে ভালো মতো মালিশ করে ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখবেন।
  • এছাড়াও চুলে অত্যধিক খুশকির সমস্যা থাকলে চুলের পরিমাণ অনুযায়ী নিম পাতা নিয়ে জলে ফুঁটিয়ে তারপর নিমপাতা গুলিকে বেটে নির্যাস বের করে নির্যাসটি মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন। এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে মাথার ত্বকে কাজ করবে।
  • এছাড়াও নিমপাতার মিশ্রনের সাথে কিছু পরিমাণ গরম করা আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল, কিংবা সাধারণ নারকেল তেল মিশিয়ে মাথায় লাগাতে পারেন।
  • চুল নরম এবং মসৃণ করার জন্য নিম পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে তার সাথে মধু মিশিয়েও মাথার চুলে একটি ন্যাচারাল কন্ডিশনার এর মতো লাগাতে পারেন।
  • ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেটি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন।
  • এছাড়াও আমলা, শিকাকাই এবং রিঠা পাউডার একসাথে মিশিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরী করে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন যা চুলের বৃদ্ধির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

৩) চুল পড়া রোধে মেথির ব্যবহার :


     চুল পড়া রোধ করে চুলের বৃদ্ধির জন্য মেথি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কমবেশি সকলের রান্নাঘরেই এই উপাদানটি পাওয়া যায়। এটি চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে ও চুলের পুষ্টিতে সহায়তা করে, খুব শীঘ্র নতুন চুল গজাতে চাইলে কিংবা চুলের বৃদ্ধি করাতে চাইলে মেথি একটি অন্যতম উপযোগী উপাদান। মেথিতে চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনগুলি উপস্থিত থাকে যা মাথার ত্বকের রক্ত চলাচলকে ত্বরান্বিত করে। এছাড়াও মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-C এবং আয়রন ও পটাশিয়াম যা চুলের বৃদ্ধি ঘটানো ও অকালপক্কতা রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং চুলকে মসৃণ এবং ঘন করে তোলে।

কি কি উপাদান প্রয়োজন?

  • মেথি – ২ চামচ
  • লেবুর রস – ২-৩ ফোটা

কিভাবে ব্যবহার করবেন?

  • মেথির পেস্ট বানিয়ে তা মাথার চুলে সরাসরি ব্যবহার করলে বেশি  উপকার পাওয়া যায়।
  • রাতের বেলায় শুতে যাওর আগে দুই চামচ মেথি এক বাটি জলে ভিজিয়ে রাখুন।
  • প্রয়োজন হলে তার মধ্যে কয়েক ফোটা লেবুর রস যোগ করতে পারেন।
  • সারারাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে মেথি বেটে পেস্ট বানিয়ে চুলের মধ্যে লাগিয়ে ফেলুন।
  • ৩০ মিনিট রাখার পর আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেটি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন।
  • অন্যদিকে নারকেল তেলের মধ্যে মেথি বীজ ফুটিয়ে উষ্ণ তেল চুলের গোড়ায় সরাসরি ভাবে লাগাতে পারেন। এটিও চুলের বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে এবং চুলের খুশকির সমস্যা দূর করবে।
  • এছাড়াও এই মিশ্রণটি অকালপক্কতা দূর করে চুলকে আরো ঘন, কালো এবং মজবুত করে তুলতে সাহায্য করবে।
  • সপ্তাহে একদিন করে এটি করলে মোটামোটি এক মাসের মধ্যেই নিজের চোখেই পার্থক্যটি দেখতে পারবেন।

৪) ডিমের মাস্ক বানিয়ে চুলের যত্ন করুন :

চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে এবংচুলকে আরও সিল্কি বানাতে অন্যতম একটি উপাদান হল ডিম। এটি চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে মসৃণ এবং Shiny করে তোলে। ডিমের কোনো অংশই ফেলে দেওয়ার নয় , এর সাদা অংশটি তৈলাক্ত চুলের জন্যে উপযোগী এবং কুসুম অর্থাৎ হলুদ অংশটি শুষ্ক চুলের জন্য উপযোগী। ডিমের মধ্যে চুলের প্রয়োজনীয় প্রোটিন যেমন বায়োটিন, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত থাকায় এটি চুলকে সুস্থ করে তুলতে সহায়তা করে। চুলকে সঠিক ভাবে পরিচর্যায় ডিমের ব্যবহার অপরিহার্য। ডিম চুলের খাদ্য হিসেবে পরিচিত। চুলের প্রায় সমস্ত রকম পুষ্টির ঘাটতি ডিম পূরণ করে থাকে। যে কারণে ডিমের মাস্ক চুলকে শক্তিশালী ও মজবুত করে তোলার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

কি কি উপাদান প্রয়োজন?

  • ডিম – ১ টি
  • লেবুর রস – কয়েক ফোঁটা

কিভাবে ব্যবহার করবেন?

  • একটি ডিম ফাটিয়ে কুসুম টি বের করে নিয়ে তার মধ্যে দু তিন ফোঁটা লেবুর রস দিন।
  • ভালো করে ফেটিয়ে তারপর মিশ্রণটি মাথার তালু বা স্ক্যাল্পে এবং চুলে আঙ্গুল দিয়ে ভালো করে মাসাজ করে লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে রাখুন।
  • ২০ থেকে ২৫ মিনিট শুকোতে দেওয়ার পর হালকা যে কোনো একটি শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • মাসে ১ থেকে ২ বার এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে পারেন।
  • এছাড়াও ডিমের এই মাস্কটি চুলের জন্য আরও পুষ্টিকর বানাতে এর মধ্যে প্রয়োজনে আপেল, নারকেল তেল, মধু অলিভ অয়েল কিংবা কলা যোগ করতে পারেন।

৫) চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস :


চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে আরেকটি অন্যতম উপাদান হল পেঁয়াজের রস। পেঁয়াজের রসের মত আর অন্য কোন উপাদান এত দ্রুত চুল পরিচর্যায় সহায়তা করতে পারে না। পেঁয়াজের রসে থাকা উপাদান চুলকে আরো ঘন ও মোটা করে তোলে। এছাড়াও এরমধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান থাকায় এটি চুলকে আরো পুষ্টি যোগায়। পেঁয়াজে উপস্থিত সালফার চুলের ভাঙ্গন রোধ করে। এছাড়াও চুলের সংক্রমণ রোধ করে চুলকে আরো শক্তিশালী করে তোলে। পেঁয়াজের রসের মধ্যে উপস্থিত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ চুলের অকালপক্কতা রোধ করে। এটির নিয়মিত ব্যবহারে নতুন চুল খুব শীঘ্রই লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও গবেষণায় লক্ষ্য করা গেছে পেঁয়াজের রসের মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্ষমতাও রয়েছে। এছাড়াও এটি চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এবং খুশকি পরিষ্কার করে মাথার স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে এবং মাথার স্ক্যাল্পকে আদ্রতার হাত থেকে রক্ষা করে।

আরও পড়ুন -  ব্রণ দূর করার সহজ উপায় - Pimples

কি কি উপাদান প্রয়োজন?

  • পেঁয়াজ – ১ টি
  • শাওয়ার ক্যাপ – ১ টি

কিভাবে ব্যবহার করবেন?

  • একটি বড় মাপের পেঁয়াজ নিয়ে সেটিকে ৪ ভাগ করে কেটে নিন।
  • তারপর মিক্সিতে পেঁয়াজ টি মিশ্রিত করে নিন।
  • এরপর কোন নরম কাপড়ের সাহায্যে পেঁয়াজের মিশ্রণটি থেকে পেঁয়াজের রস আলাদা করে নিন।
  • এরপর পেঁয়াজের রস সরাসরি মাথার ত্বকে এবং চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগান।
  • মনে রাখবেন পেঁয়াজের রস মাথায় লাগানোর সময় মাথায় আঙ্গুল দিয়ে হালকা মাসাজ করাটা কিন্তু ভুলবেন না।
  • এরপর এক ঘণ্টা শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে চুলটা অমনি ভাবেই রেখে দেবেন যাতে করে পেঁয়াজের রস আমাদের মাথার স্কাল্প দ্বারা কিছুটা শোষিত হতে পারে।
  • কিছুক্ষণ বাদে আমাদের চুল ও স্কাল্প পেঁয়াজের রসটা টেনে নেবে। তারপর আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেটি দিয়েই ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলবেন।
  • মোটামোটি এক মাসের মধ্যেই পার্থক্যটা নিজের চোখেই দেখতে পারবেন।
  • প্রয়োজনে চুলের বৃদ্ধির জন্য এবং চুলে উজ্জ্বলতা আনার উদ্দেশ্যে পেঁয়াজের রসটিকলে আরও কার্যকর করার জন্য এর মধ্যে মধু কিংবা অলিভ অয়েল কিংবা কারি পাতা মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
  • তবে যদি সরাসরি পেঁয়াজের রসের গন্ধটা নিতে না পারেন সে ক্ষেত্রে এর মধ্যে আপনার পছন্দসই এসেনশিয়াল অয়েল অল্প পরিমাণে যোগ করতে পারেন যাতে পেঁয়াজের গন্ধটা একটু কমে যায়।
  • সপ্তাহে একদিন এই পেঁয়াজের রস টি ব্যবহার করলে শীঘ্রই পার্থক্য টি দেখতে পাবে।
বেস্ট আন্টি-হেয়ারফল সাপও ও ক্রিমস -

1. https://amzn.to/3CMlzuI   - 799 টাকা 
2. https://amzn.to/3i7z543    - 625 টাকা
3. https://amzn.to/3D4CGbx  - 428 টাকা
4.https://amzn.to/3uh2AFz    - 379 টাকা
5. https://amzn.to/3m5m6RE  - 557 টাকা
6. https://amzn.to/3iaSTDS   -  229 টাকা
7. https://amzn.to/3CPvIHc   -  147 টাকা
8. https://amzn.to/2Y0TfpC   - 877 টাকা
9. https://amzn.to/3ocpf58    -  399 টাকা
10. https://amzn.to/3m2XDwr  - 337 টাকা
11. https://amzn.to/2XQdkPg   - 120 টাকা
12. https://amzn.to/3kJR8PF  -  135 টাকা
13. https://amzn.to/3zI0bEZ  - 196 টাকা

৬) চুলের যত্নে যষ্টিমধু :


যষ্টিমধু হল চুল পড়া রোধ করার একটি অন্যতম আয়ুর্বেদিক উপাদান। যষ্টিমধু চুলের বিভিন্ন সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এটি মূলতঃ টাক পরার মতো গুরুতর সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা নেয়। যষ্টিমধুর মধ্যে উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড এবং অন্যান্য ক্যামিক্যাল উপাদান মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে যা চুল কে শক্তিশালী করে তুলতে এবং চুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে কোন রকম ব্রন ও ফুসকুড়ি কিংবা খুশকির সমস্যার সমাধানেও এটি একটি অনবদ্য উপাদান।

কি কি উপাদান প্রয়োজন?

  • যষ্টিমধু – ১ টুকরো
  • নারকেল তেল – পরিমান মত

কিভাবে ব্যবহার করবেন?

  • একটি পাত্রে এক কাপ জল নিয়ে তার মধ্যে এক টুকরো যষ্টিমধু যোগ করুন।
  • তারপর অল্প আঁচে ১৫ মিনিটের জন্য সেটি ফুটিয়ে নিন যাতে মিষ্টিমধুর টুকরোটি গোলেগিয়ে জলের সাথে মিশে যায়।
  • জলটি ফুটিয়ে নেওয়ার পর সেটির মধ্যে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল এবং ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে একটু ঠান্ডা করে নিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন।
  • এটি সারা রাত মাথায় লাগিয়ে রাখুন।
  • তারপর শ্যাম্পু বা শুধু জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। 
  • সপ্তাহে একদিন করে এটি করলেই কাজে দেবে। এতে চুলের ফলিকল গুলো পুষ্টি লাভ করবে, শক্তিশালী হবে এবং চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটবে এবং মাথার স্কাল-এর রুক্ষতা ও শুস্কতাও কমে যাবে।
আরও পড়ুন - 

৭) চুল পড়া রোধে গ্রিন টির ব্যবহার :


    গ্রীন টি (Green Tea) চুল পড়া রোধ এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার অন্যতম উপাদান। এতে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চুলকে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং চুল পড়া রোধে সহায়তা করে। এটি খুশকি এবং যে কোনও ধরণের মাথার ত্বকের সমস্যা দূর করতেও সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে গ্রিন টিতে রয়েছে ক্যাফিন নামক উপাদান, যা চুলের বৃদ্ধি এবং চুলের পুষ্টিতে সাহায্য করে। এটি চুল ভাঙার সমস্যা নিরাময়েও সাহায্য করে।

  • জল – পরিমান মত

কিভাবে ব্যবহার করবেন?

  • একটি ছোট বাটিতে কিছুটা জল নিন এবং এর মধ্যে এক চা চামচ গ্রিন টি বা একটি গ্রিন টি ব্যাগ নিন।
  • তারপর চা পানিতে মাঝারি আঁচে 30 মিনিটের জন্য সিদ্ধ করুন।
  • 30 মিনিট পরে, চুলা (Oven) বন্ধ করুন, চায়ের জলটি কিছুটা ঠান্ডা করুন এবং এটি মাথার তালু এবং চুলে ম্যাসাজ করুন।
  • হাতের আঙ্গুল দিয়ে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
  • তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন।
  • এভাবে সপ্তাহে দুই দিন করতে পারেন। এটি চুলের অনেক সমস্যার সমাধান করবে।।

৮) চুল পড়া কমাতে জবা ফুল :

চুল পড়া রোধে জবা ফুল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি দ্রুত চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জবা গাছের পাতা ও ফুল উভয়ই চুলের পুষ্টির প্রধান উপাদান। জবা চুলের যত্নে ফুল হিসেবেও পরিচিত। এটি চুলের সমস্যা, খুশকি, শুষ্কতা, ধুলোবালি থেকে চুলকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে। চুল ঘন ও মজবুত করতে জবা ফুলও খুবই উপকারী। জবা ফুল এবং পাতার তেল, কন্ডিশনার, শ্যাম্পু চুলের বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান, এটি যে কোনও উপায়ে চুলে ব্যবহার করা নিরাপদ। এতে চুল বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান রয়েছে। এটি খুব অল্প সময়ে চুল দ্রুত গজাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি এবং অ্যামিনো অ্যাসিডে ভরপুর হওয়ার কারণে, এটি খুব দ্রুত যে কোনও ধরণের চুল পড়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। জবা ফুল চুলকে মসৃণ ও মজবুত করতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া বন্ধ করে।

কি কি উপাদান প্রয়োজন?

  • জবা ফুল- ৬-৭ টি
  • জবার পাতা – ৬-৭ টি
  • নারকেল তেল – পরিমান মত

কিভাবে ব্যবহার করবেন?

  • 7-8 জবা ফুল এবং 7-8 জবা পাতা একটি ছোট পাত্রে আধা কাপ নারকেল তেলের মধ্যে সিদ্ধ করুন।
  • তারপর তেল ঠান্ডা হয়ে গেলে মাথার ত্বকে এবং পুরো চুলে তেল লাগান।
  • তারপর আপনার মাথায় একটি শাওয়ার ক্যাপ লাগান যাতে তেল গড়িয়ে যেতে না পারে
  • তারপর 30 মিনিট পর যেকোনো মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • এই তেলের ব্যবহার মাথার ত্বকে রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়াবে যা চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।
  • আপনি চাইলে এই তেল বানিয়ে প্রায় এক মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে পারেন।
  • এটি সপ্তাহে 1 থেকে 2 দিন ব্যবহার করুন।
  • জবা ফুলের পাতা পেস্ট করে এবং তাতে টক দই মিশিয়ে আপনি একটি মাস্কও তৈরি করতে পারেন।
  • এই মাস্কটি মাথায় এক ঘণ্টা রেখে দিন এবং তারপরে হালকা গরম শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • তাহলে চুল হয়ে উঠবে মসৃণ ও মজবুত। এক মাস ধরে এটি করার পর, আপনি চুলের পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারেন।
  • আপনি জবা ফুলের রসের সঙ্গে কারি পাতা বা আদা বা পেঁয়াজের রসও মিশিয়ে নিতে পারেন। এগুলি দ্রুত চুল বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে।


বেস্ট আন্টি-হেয়ারফল সাপও ও ক্রিমস -

1. https://amzn.to/3CMlzuI   - 799 টাকা 
2. https://amzn.to/3i7z543    - 625 টাকা
3. https://amzn.to/3D4CGbx  - 428 টাকা
4.https://amzn.to/3uh2AFz    - 379 টাকা
5. https://amzn.to/3m5m6RE  - 557 টাকা
6. https://amzn.to/3iaSTDS   -  229 টাকা
7. https://amzn.to/3CPvIHc   -  147 টাকা
8. https://amzn.to/2Y0TfpC   - 877 টাকা
9. https://amzn.to/3ocpf58    -  399 টাকা
10. https://amzn.to/3m2XDwr  - 337 টাকা
11. https://amzn.to/2XQdkPg   - 120 টাকা
12. https://amzn.to/3kJR8PF  -  135 টাকা
13. https://amzn.to/3zI0bEZ  - 196 টাকা

If you have any doubts or quarry, Please Let me know.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন