ব্রণ দূর করার সহজ উপায় - Pimples

 ব্রণ দূর করার সহজ উপায় - Pimples


শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ব্রণের সমস্যা দেখা যায় কিশোর -কিশোরীদের মধ্যে। ব্রণ মূলত কিশোর -কিশোরী এবং বিশের দশকের প্রথম দিকে মানুষকে প্রভাবিত করে। তবে বিভিন্ন বয়সের নারী -পুরুষের মধ্যে ব্রণ দেখা যায়। ব্রণ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। যাইহোক, যদি এটি আরও বেশি হয়, তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হবে।

ব্রণ হওয়ার কারণ

বিশেষজ্ঞরা ব্রণের অনেক কারণ সম্পর্কে কথা বলেন। প্রধান কারণগুলি হল হরমোনের নিঃসরণ, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, ত্বকের অবহেলা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, তৈলাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, অনিদ্রা, অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি ব্রণ থেকে মুক্ত থাকার প্রধান শর্ত হল পরিষ্কার এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।

  • ব্রণ প্রধানত ত্বকে প্রভাবিত করে। ফলে ত্বক পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। এই শুষ্ক আবহাওয়ার দিনে ত্বকে ধুলো যাতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ত্বকে ধুলো ও বালি জমে যাওয়ার ফলে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে দেখা দিতে পারে ব্রণ।

  • গরমের দিনে শরীর থেকে বিভিন্ন উপায়ে জল বেরিয়ে যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ঘাম। আপনি যখন গরমে বাইরে যাবেন তখন আপনার ঘাম হবে। ঘাম শরীরের জলের পরিমান কমিয়ে দেয়। ডিহাইড্রেশন ব্রণের অন্যতম কারণ।

  • ঘুমের সমস্যা, অর্থাৎ সঠিক পরিমাণে ঘুম না হওয়া অনেক রোগের কারণ। ব্রণও হতে পারে সঠিক ঘুম না হওয়ার কারণে। ঘুমানোর সময় শরীর তার নিজের কাজগুলো করতে থাকে, যা আমাদের সুস্থ থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত না ঘুমালে শরীরের নিজের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণত ঘুমের সময়ে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণ বা তৈরির মতো জটিল বিষয়গুলো ঘটতে থাকে শরীরে। ঘুমের অভাব, কম বা অনিয়মিত ঘুম ব্রণ বিরোধী হরমোন উৎপাদনে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এটি ব্রণের ঝুঁকি তৈরি করবে।

  • বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে–মেয়ে উভয়ের ব্রণ হয়ে থাকে। এর বড় কারণ, বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীরা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ভেতর দিয়ে যেতে থাকে। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা তাদের সামনে আসতে থাকে। ফলে তাদের মধ্যে অবসাদ তৈরি হয়, দুশ্চিন্তা বেশি হয়, ঘুম ঠিকমতো হয় না, নিজে নিজে শরীরের যত্ন নেওয়ার অভিজ্ঞতা থাকে না, খাবারদাবার বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকে না। ফলে শরীরে হরমোনের প্রবাহ ব্যাহত হয় বা হরমোনের অভাব হয়। এই সব আসলে ব্রণের জন্য দায়ী।


    • তেল-মসলাযুক্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ। বিভিন্ন ধরনের ফার্স্ট ফুড, ডিপফ্রাই করা খাবার, কোমল পানীয় যত বেশি খাওয়া হবে, ব্রণ হওয়ার প্রবণতা তত বেশি বাড়তে থাকবে। এসব খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। খাবার হজম না হলে পেট পরিষ্কার হয় না। পরিষ্কার পেট না থাকা বা নিয়মিত মলত্যাগ না করা শুধুমাত্র ব্রণের কারণ নয়, এটি অন্যান্য অনেক রোগের কারণ।

ব্রণ, ফুসকুড়ির কালো দাগ থেকে  মুক্তি পান এই  উপায়ে

    ব্রণ খুব সহজেই দূর হবে। এর খুব সহজ প্রতিকার হলো স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকাই ব্রণের মূল প্রতিকারব্যবস্থা। যদি খুব বেশি সমস্যা হয়, আপনি নিজে কিছু না করে একজন ডাক্তার, বিশেষ করে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।


ঘরোয়া পদ্দতিতে ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে নিচের পদ্দতি গুলি ৫-৬ দিন ফলো করুন :-


সরিষা
মুখে ব্রণ বা অন্য কোনও সমস্যা হলে সরিষা দারুণ কাজ করে। এতে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড রয়েছে যা সংক্রমণকে ধ্বংস করে দেয়। তাই টেবিল চামচের এক-চতুর্থাংশ সরিষা গুড়া নিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে ভালোভাবে মিশিয়ে 15 মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
সবুজ চা
বেশি করে গ্রিন টি সেদ্ধ করে সেই জলটি ঠান্ডা করে মুখে ব্রণের ওপর লাগান।

টমেটো
টমেটো ত্বকের যেকোনো সংক্রমণ কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক। টমেটোকে টুকরো করে কেটে বা জুস বানিয়ে মুখে লাগান। কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

রসুন
ব্রণের ওপর রসুনের রস লাগান। যদি আপনি চান, আপনি একটি দীর্ঘ সময়ের জন্য রাখতে পারেন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ডিমের সাদা অংশ
একটি ডিম ফাটিয়ে কুসুমটি আলাদা করে নিন এবং সাদা অংশ  মুখের ব্রণের ওপর লাগান। এটি 20 মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।




ভিনেগার
ভিনেগার ব্রণের সমস্যায়তেও দারুণ কাজ করে। তুলার ওপর ভিনেগার লাগিয়ে ব্রণের ওপর লাগান। 5 মিনিটের জন্য প্রয়োগ করুন এবং ধুয়ে ফেলুন। সারা মুখে ভিনেগার লাগাবেন না।

লেবুর রস
রাতে ঘুমানোর আগে, আপনি একটি তুলোর বল লেবুর রসে ভিজিয়ে মুখের ব্রণে সারা রাত লাগিয়ে রাখতে পারেন। আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন ব্রণের সমস্যা অনেক কমে গেছে।

ব্রণ দূর করতে হোমিওপ্যাথি কতটা কার্যকরী?

প্রথমে আপনাকে আমি বলব যে হোমিওপ্যাথিক লক্ষনভিত্তিক রোগের চিকিৎসা করে তাই আপনাকে রোগের সাথে তার ঔষধের বিভিন্ন লক্ষনেরও মিল থাকতে হবে। লক্ষন অনুযায়ী ব্রণের ঔষধ প্রয়োগে শতভাগ ফলাফলের আশা করা যায়।

নিচে কিছু সাধারণ লক্ষণ এবং ওষুধের নাম দেওয়া হল :-

  • 13-20 বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের মুখের ব্রণ সারানোর জন্য ক্যালকেরিয়া পিক্রেটা (Calceria Picreta 3x বা 30) একটি সাধারণ ঔষধ।
  • ক্যালকেরিয়া সালফ (Calcarea Sulfurica 12X) মুখে পুঁজ বা রক্তের দাগের জন্য ভালো কাজ করে।
  • ক্যালকেরিয়া ফস (Calcarea Phos) : মেয়েদের মুখের ব্রণের ক্ষেত্রে দারুণভাবে কার্যকর।
  • সালফার ২০০ (Sulphur-200 )- দীর্ঘস্থায়ী ব্রণ রোগীদের জন্য উপযুক্ত। অত্যন্ত ফাটা ব্রণের জন্য একটি খুব দরকারী হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার।

If you have any doubts or quarry, Please Let me know.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন