অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ২২ টি সহজ ও কার্যকর উপায়।[Earn Money Online in Bengali]

অনলাইন ইনকাম কিভাবে করা যায়? জেনে নিন্নিন ২২ টি সহজ ও কার্যকরী উপায়। 

    


আজ প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার মুহূর্ত পর্যন্ত প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। মানুষের এই প্রযুক্তি এবং অনলাইন-ভিত্তিক মানসিকতা ইন্টারনেটে প্রচুর আয় তৈরি করেছে।

 খুব সহজেই লোকেরা অনলাইনে ভাল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছে। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন এই অনলাইন আয়ের উপর নির্ভরশীল।

আপনিও চাইলে সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এখন প্রশ্নটা হলো যে আপনি কি অনলাইন অর্থ উপার্জন করতে চান ? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয় তবে এই আর্টিকেল টি আপনার জন্যই লেখা।

এই অনুচ্ছেদটিতে আমরা অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর আদ্যোপান্ত নিয়ে আলোচনা করবো এবং সাথে সাথে অনলাইনে আয়ের সেরা উপায়গুলি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আপনি যদি এই সেক্টরে নতুন হন, এই আনুচ্ছেদটি আপনাকে অনেক সহায়তা করবে।

অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর আদ্যোপান্ত

১০ বছর আগের তুলনায় অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা অনেক সহজ। ১০ বছর আগে অনলাইন এর বেপারে স্বল্পজ্ঞান, ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার অভাব সহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে কেউ অনলাইনে আয়ের কথা কল্পনাও করতে পারেনি।

কিন্তু সেই স্বপ্ন আজ সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে। বর্তমানে মানুষ কেবল অনলাইন এ ছোট-খাটো ইনকাম নয়, কেও কেও অনেক বেশি পরিমান টাকা ইনকাম করছে, এমনকি কেও কেও এটার ওপর ভিত্তি করে নিজের সংসার চালাচ্ছে ।


এই আধুনিক বিশ্বে, বেশিরভাগ কাজ এখন অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে অনলাইনে চলছে। আগে, আপনি যদি কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে চাইতেন তবে আপনাকে নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ভর্তির ফর্ম নিতে হতো এবং ফর্ম জমা দেওয়া বা Fees দেওয়া বা রেজাল্ট নেওয়ার মতো সব কাজ এ কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে করতে হতো।

তবে এখন আপনি দেশের যে কোনও অংশ থেকে অনলাইন ভর্তি ফর্ম পূরণ করতে পারেন। চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রেও এখন এটি হয়। বিভিন্ন জায়গায় অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন কাজের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। আপনাকে এই সব অনলাইন কাজ করার জন্য যা দরকার তা হলো একটি ডিজিটাল ডিভাইস, যেমন - স্মার্ট ফোন , ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এবং মোটামোটি ভালো ইন্টারনেট কানেকশন।

আপনি শুরুতে অনলাইনে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারেন এমন গ্যারান্টি কেও দিতে বিপর্বে না। কিন্তু যদি আপনার ধৈর্য থাকে, এবং আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট কাজ আয়ত্ত করতে পারেন, আপনি প্রতি মাসে অনলাইন থেকে প্রচুর যথেষ্ট পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এমনকি কে জানে হয়তো আপনি লাখপতি বা কোটিপটিও হয়ে যেতে পারেন।
অনলাইনে ইনকাম করার জন্য কী কী প্রয়োজন?

অনলাইনে উপার্জনের জন্য আপনার কেবল প্রতিভা, শ্রম এবং সময় প্রয়োজন। আপনি যদি এই তিনটি জিনিস সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন তবে আপনি কেবল মাত্র একটি ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে বাড়িতে অনলাইনে উপার্জন করতে পারেন। আপনি বিশ্বাস করতে না করতে চাইলে না করেন তাতে আপনারই লস! আমি আপনাকে উদাহরণ দিয়ে দেখাব কীভাবে বাড়িতে অনলাইনে উপার্জন করতে হয়?

একজন ছাত্র, গৃহিণী বা চাকরিপ্রার্থী আপনি যাই হন না কেন আপনি আপনার লেখা বা কাজ বা চাকরির পাশাপাশি অবসর সময় 2/3 ঘন্টা ব্যয় করে মাসে অনলাইনে মোটামুটি ভাল পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনার চাকরি কিংবা লেখা পড়ায় কোন ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে না। আপনার মূল প্রফেশন ঠিক রেখেও সামান্য সময় ব্যয় করে অনলাইন হতে টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

অনলাইনে ইনকাম – Online income :-

এখন দুই হাজার একুশ (২০২১)। পৃথীবি এখন সম্পূর্ণ ভাবে প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। দৈনন্দিন জীবনের একটি ছোট কাজ থেকে শুরু করে সবচেয়ে বড় কাজ এখন অনলাইনে চলছে।

কেনা কাটা , পড়ালেখা ,অফিস , মিটিং ,ব্যাবসা বানিজ্য সবকিছুই হয়েছে এখন অনলাইন নির্ভর । এরমধ্যে আপনি হয়তো শুনেছেন আপনার আশেপাশে অনকেই অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা আয় করতেছে। আপনি হয়তো ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এর কথা শুনেছেন। 

আপনি নিশ্চই অনলাইনে ইনকামেরে কথা জেনে ইটা করার জন্য আগ্রহী হচ্ছেন। সবাই বাড়িতে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে চায়।

অনেকে সঠিক নির্দেশিকার অভাবের কারণে অনলাইনে ইনকাম করতে পারে না এবং অন্যদের ধৈর্য নেই। অনলাইন থেকে উপার্জনের জন্য আপনার সঠিক নির্দেশিকা এবং প্রচুর ধৈর্য প্রয়োজন। শুধুমাত্র তাহলেই অনলাইন থেকে ভাল অর্থ আয় করতে পারবেন।

অনলাইন আয় এর সেরা উপায় :-

০১। ব্লগ থেকে ইনকাম

     ব্লগিং অনলাইন আয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কার্যকর পদ্ধতি। ব্লগ তৈরি করে এবং ব্লগে ভালো প্রবন্ধ লিখে ব্লগকে জনপ্রিয় করতে পারলে ব্লগিং এর মাধ্যমে সারা জীবনের জন্য অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ব্লগ থেকে ইনকাম

কিভাবে ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করবেন?

ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জন সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে। বেশীরভাগ মানুষ মনে করে যে শুধুমাত্র ব্লগ তৈরি করলেই ব্লগ থেকে টাকা আয় করা যায়। আসলে শুধু ব্লগ তৈরি করলে বা ব্লগ থাকলেই সেই ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জন করা যাবে না। ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য ব্লগে নিয়মিত ভালোমানের আর্টিকেল শেয়ার করার পাশাপাশি ব্লগকে জনপ্রিয় করে তুলার মাধ্যমে ব্লগে ভিজিটর নিয়ে আসতে হয়। 

যখন আপনার ব্লগে প্রচুর পরিমানে ট্রাফিক বা ভিজিটর আস্তে শুরু করবে তখন আপনি অনায়াসেই টাকা ইনকাম করতে শুরু করবেন। শুধু ব্লগ নয়, আপনি সেই ব্লগ এর মধ্যে দিয়ে নানা উপায়ে অনলাইন এ টাকা ইনকাম করতে পারবেন,সেগুলির ব্যাপারে পরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।  ব্লগ থেকে কি পরিমান ইনকাম হবে সেটা আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তার উপর ডিপেন্ড করবে। অর্থাৎ আপনার ব্লগে যত বেশি ভিজিটর থাকবে আপনার ইনকাম তত বেশি হবে।

কিভাবে ব্লগ তৈরি করবেন?

ব্লগ তৈরি করার জন্য দুটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। একটি ওয়ার্ডপ্রেস এবং অন্যটি গুগল ব্লগার। এই দুটি প্ল্যাটফর্মই একেবারে বিনামূল্যে (Free) ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ তৈরি করতে হলে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে। অন্যদিকে গুগল ব্লগারে কোন ধরনের ডোমেন ও হোস্টিং না কিনে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্লগ তৈরি করা যায়।

আপনি চাইলে এই দুটি প্ল্যাটফর্মের যে কোন একটিতে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। ব্যক্তিগত ব্লগের দিক থেকে এই দুটি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। সুতরাং আপনি গুগল ব্লগারে বিনামূল্যে আপনার নিজের ব্লগ তৈরি করতে পারেন।

তাছাড়া, যেহেতু গুগল ব্লগারদের সাথে ব্লগ তৈরি করা সহজ, তাই আপনি মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে আপনার মোবাইল দিয়েই ব্লগ তৈরি করতে পারেন। গুগল ব্লগারদের সাথে ব্লগ তৈরি করার বিষয়ে আমাদের ব্লগে বিস্তারিত পোস্ট রয়েছে। আপনি আপনার নিজের একটি ব্লগ তৈরি করতে নীচের লিঙ্ক থেকে আমাদের ব্লগে পোস্টগুলি দেখতে পারেন।

তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে আপনাকে ব্লগ তৈরি করা নিরন্তর চালিয়ে যেতে হবে। আপনি যে বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে সে সম্পর্কে লিখবেন। এই ক্ষেত্রে, আপনাকে প্রথম 2-3 মাস একটু কঠোর পরিশ্রম করতে হতে পারে। তাই আপনি হতাশ থামবেন না।

আপনি প্রতিদিন নতুন নিবন্ধ লিখতে থাকুন। আপনার বিষয় যদি অনন্য এবং জ্ঞানী হয়, দর্শনার্থী অবশ্যই আপনার ব্লগে আসতে হবে। এই বিষয়ে সফল হওয়ার জন্য আপনাকে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। আপনি নিজেই অর্থ উপার্জনের পথ প্রশস্ত করতে পারবেন।

কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন?

আমি আগেই বলেছি, ব্লগ তৈরি করে বসে থাকলে ব্লগ থেকে আয় হবে না। ব্লগিং করে অনলাইনে আয় করতে, আপনাকে প্রথমে ব্লগে নিয়মিত লিখতে হবে। অর্থাৎ অনলাইনে অনুসন্ধানকরা ব্যক্তিদের ইন্টারেস্টের বিষয়গুলি আপনাকে আপনার ব্লগে নিয়মিত লিখতে হবে।

কিন্তু অন্য কোন ব্লগের লেখা কপি করে আপনার ব্লগে কখনো কপি করে লিখবেন না। কারণ অন্যের লেখা কপি করলে মানুষ কখনই আপনার ব্লগ পড়তে পারবে না। এছাড়াও, অনুলিপি করা পোস্টগুলি গুগল অনুসন্ধানের ফলাফল পৃষ্ঠাগুলিতে (Google Search Page) গুগল দেখায় না, তাই আপনি গুগল থেকে অনুলিপি করা পোস্ট করে কখনই ট্র্যাফিক পাবেন না। 

শুধু শুধু অনলাইনে ইনকাম করার লোভে পড়ে অন্যের লেখা কপি না করে নিজে যে বিষয়ে ভালোভাবে জানেন এবং বুঝেন সেই বিষয়ে লেখার চেষ্টা করেন। শুরুর দিকে খুব একটা ভালো লিখতে না পারলেও কিছু দিন লেখার অভ্যাস করলে এক সময় আপনিও ভালো ভালো আর্টিকেল লিখতে পারবেন। যখন ব্লগে অন্যদের চাইতে ভালো কিছু লিখতে পারবেন তখন মানুষ আপনার লেখা পড়তে আসবে। এবং যখন লোকেরা আপনার পোস্টটি পড়বে তখন আপনার পোস্টে যে এডভারটিসিমেন্ট দেখানো হবে সেগুলো থেকেই আপনার ইনকাম শুরু হবে।

কিভাবে ব্লগে ভিজিটর বৃদ্ধি করবেন?

ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর প্রধান উপায় হচ্ছে নিয়মিত ভাবে ব্লগে মানসম্পন্ন অনন্য নিবন্ধ শেয়ার করা। এছাড়াও, বিষয়বস্তু লেখার সময়, অন পেজ SEO যেন সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এবং পোস্ট করা হয়। পোস্ট করার পর, পোস্টটি যেন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়। বিশেষ করে নতুন ব্লগ পোস্ট অবশ্যই ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্ট্রাগ্রামে শেয়ার করবেন। তাহলে লোকজন আপনার ব্লগ সম্পর্কে জানতে পারবে।

এছাড়াও, একটি ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য একটি অন-পেজ SEO ছাড়াও একটি অফ-পেজ SEO-ও করতে হবে। বিশেষ করে আপনি যদি একটি ব্যাংলিংক তৈরি করেন, তাহলে সার্চ ইঞ্জিনে পোস্ট র ্যাঙ্কিং করে গুগল থেকে ভিজিটর ব্লগে নিয়ে আসা সম্ভব।

ব্লগিং করে ইনকাম করার উপায় কি কি?

ব্লগিং করে অনলাইনে উপার্জনের অসংখ্য উপায় রয়েছে। ব্লগিং অনলাইন আয়ের অন্যতম সেরা মাধ্যম। কারণ একটি ব্লগ জনপ্রিয় হওয়ার সাথে সাথে, অনলাইন থেকে বিভিন্ন ভাবে ভাল অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। ব্লগের মাধ্যমে জনপ্রিয় অনলাইন আয়ের মিডিয়াগুলি নিম্নলিখিত --
  1. গুগল এডসেন্স
  2. এফিলিয়েট মার্কেটিং
  3. স্পনসর পোস্ট
  4. অনলাইন কোর্স
  5. ব্লগ বিক্রি

১। এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম

এডসেন্স হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের (Advertisement) Program. এটি গুগল কর্তৃপক্ষ স্বয়ং নিজে পরিচালনা করছে। সাধারণত যে কোন বড় কোম্পানি তাদের পন্যের প্রচার করার জন্য টেলিভিশনে এবং খবরের কাগজে তাদের পন্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। তাহলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ টেলিভিশনে বা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেখে সংস্থার পণ্যগুলি সম্পর্কে আরও জানতে পারবে।

একইভাবে, বড় সংস্থাগুলি অনলাইনে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপনপ্রচারের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে গুগলের কাছে তাদের সংস্থার পণ্যগুলির বিভিন্ন বিজ্ঞাপন জমা দেয়। গুগল তখন অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আমাদের মতো সাধারণ ব্লগে এই বিজ্ঞাপনগুলি দেখানো হয় যাতে আরও বেশি লোকের কাছে বিজ্ঞাপনগুলি পৌঁছাতে পারে। আর আমাদের ব্লগে সেই বিজ্ঞাপনে যখন লোকজন ক্লিক করে তখন গুগল তার ইনকাম এর কিছু অংশ আমাদের মতো ব্লগারদের দেয়।

কিভাবে এডসেন্স পাবেন?

আপনার ব্লগে যখন যথেষ্ট ভিজিটর থাকে, তখন আপনি জিমেইল আইডি ব্যবহার করে আপনার ব্লগের মাধ্যমে একটি এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করতে পারেন। গুগল একটি এডসেন্সএকাউন্ট তৈরি করার পর আপনার ব্লগ চেক করবে। আপনার ব্লগে ভাল কন্টেন্ট থাকা ছাড়াও আপনার ব্লগে পর্যাপ্ত ভিজিটর থাকলে তবেই গুগল আপনার অ্যাডসেন্স অনুমোদন করবে।

তখন আপনি ব্লগের বিভিন্ন অংশে গুগল অ্যাডসেন্স-এর বিজ্ঞাপন রাখতে পারবেন। যখন আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন দেখানো হয় এবং লোকেরা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে, তখন আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে টাকা ইনকাম হওয়া শুরু হবে।

আপনার ব্লগে যত বেশি ভিজিটর থাকবে, আপনার আয় তত বেশি হবে। তবে আরও আয় করার আশায় কখনই নিজেই নিজের বিজ্ঞানে ক্লিক করবেন না। আপনি নিজেই নিজের বিজ্ঞাপনটিতে ক্লিক করলে যে কোনও সময় পার্মানেন্টলি আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

কিভাবে এডসেন্স এর টাকা হতে পাবেন?

আপনার ব্লগের মাধ্যমে এডসেন্স থেকে আয়ের অর্থ আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে নিতে হলে পানার এডসেন্স একাউন্টে অবসসই $10 জমা হতে হবে। আপনার অ্যাকাউন্টে $10 জমা হওয়ার পরে গুগল আপনার Gmail-এ একটি মেইল পাঠাবে। সেই মেইল-এ একটি গোপন কোড থাকবে এবং কোডটি আপনার এডসেন্স একাউন্টে ব্যবহার না করলে আপনি আপনার এডসেন্স একাউন্ট এ জমা হওয়া টাকা টি আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে নিতে পারবেন না।

তারপর আপনার এডসেন্স একাউন্টে যখন ১০০ ডলার জমা হবে তখন গুগল সেই টাকা প্রতি মাসের ২১ তারিখে আপনার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দিবে। আপনার ব্লগে যত বেশি ভিজিটর থাকবে, প্রতি মাসে ব্লগ থেকে অনলাইনে তত বেশি অর্থ উপার্জন হবে।

২। এফিলিয়েট মার্কেটিং

অনলাইনে অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।  আপনি যদি অনলাইনে আরও অর্থ উপার্জন করতে চান এবং আপনি যদি একজন পরিশ্রমী এবং ধৈর্যশীল ব্যক্তি হন তবে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতো আরো বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন?

বর্তমানে অনলাইনে অনেক বড় শপিং মল রয়েছে। যেমন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট, আলিবাবা এবং ফ্লিপকার্ট। এই জাতীয় শপিং মলগুলি বিভিন্ন উপায়ে তাদের পণ্যগুলি প্রচার করে। 

এ ক্ষেত্রে আপনার ঐ সমস্ত শপিং মলের সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে তাদের পন্যের লিংক আপনার ব্লগে শেয়ার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পন্যের লিংক শেয়ার করার পূর্বে কাঙ্খিত প্রোডাক্ট এর ভালো দিকগুলো তুলে ধরে একটি আর্টিকেল লিখতে পারেন। তখন পন্য সম্পর্কে ভিজিটররা পোস্টটি পড়ার সময় আপনার শেয়ার করা লিংকে ক্লিক করে ঐ অনলাইন শপিং মল থেকে পন্য কিনলে সেই পন্যের দাম হতে কিছুটা কমিশন আপনাকে দেওয়া হবে। 

মূলত এভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলানে ইনকাম করা হয়। উন্নত দেশের পাশাপাশি বর্তমানে আমাদের দেশের মানুষও এখন বেশি পরিমানে অনলাইন শপিং করছে। মোবাইল ব্যাংকিং চালু হওয়ার কারনে আমাদের দেশের অনলাইন মার্কেটিং বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ বেড়েছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের ব্লগের এফিলিয়েট মার্কেটিং সংক্রান্ত পোস্ট পড়তে পারেন।

৩। স্পনসর পোস্ট

যখন আপনার ব্লগ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে, তখন লোকেরা তাদের পণ্যের ভাল দিকগুলি তুলে ধরতে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। সাধারণত, এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ডিজিটাল পণ্য হাইলাইট করে সেই পণ্যটির বেপারে একটি বিস্তারিত পোস্ট লিখতে হবে। আপনার ব্লগ জনপ্রিয় হওয়ার কারনে লোকজন আপনার ব্লগের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবে। বিনিময়ে আপনি ঐ কোম্পানির নিকট থেকে ভালোমানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সাধারণত একটি ব্লগ যত বেশি জনপ্রিয় হয়, সেই ব্লগের স্পনসরশিপের হার তত বেশি হয়। আপনি যদি একজন ভাল লেখক হন এবং আপনার ব্লগে প্রচুর দর্শনার্থী থাকে, তাহলে আপনি স্পনসর পোস্ট থেকেই  ৫০,০০০ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন।

৪। অনলাইন কোর্স

কোভিড-১৯ মাহামারির পর থেকে আমাদের দেশের লেখাপড়া অনেকাংশে এখন অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছে। তা না হলে হয়ত আমরা অনলাইন কোর্স বিষয়টি সহজে বুঝতে পারতাম না। এখন আমাদের দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা, সব কিছুই  অনলাইনে চলছে। 

এখানে অনলাইন কোর্স বলতে বিভিন্ন ধরনের কোর্স বুঝানো হচ্ছে। আপনার যে বিষয়ে অভীজ্ঞতা আছে আপনি চাইলে সেই বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের কোর্স চালু করে সেটা PDF আকারে আপনার ব্লগে শেয়ার করে বিক্রি করতে পারেন।

 আপনি একটি ভাল নিবন্ধ আপনার ব্লগে শেয়ার করে লক করতে পারেন। অর্থাৎ, লোকেরা আপনার কোর্সের কিছু অংশ ফ্রীতে পড়ুক এবং বাকিগুলি লক করুন। লোকেরা আপনার কোর্স পছন্দ করলে অর্থের বিনিময়ে সেই লক করা অংশটি পড়তে পারবে। এ ক্ষেত্রে আপনার যত ভালোমানের কোর্স থাকবে আপনি তত বেশি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

৫। ব্লগ বিক্রি করে ইনকাম

আপনি যদি আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তা বাড়াতে পারেন, তাহলে আপনি সেই ব্লগ বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারেন। কারণ একটি জনপ্রিয় ব্লগের চাহিদা অনলাইনে বিশাল। তবে আপনার ব্লগের মূল্য কত টাকা হবে সেটা আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তার উপর ডিপেন্ড করবে। সাধারণত একটি ব্লগ বিক্রি করে নরমালি ৩/৪ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। আর যদি প্রচুর জনপ্রিয় ব্লগ হয় তাহলে কয়েক মিলিয়ন ইনকাম করা সম্ভব।

০২। YouTube থেকে ইনকাম

YouTube থেকে ইনকাম

   ইউটিউব বর্তমানে অনলাইন আয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। এখনও আমাদের দেশের অনেক শিক্ষিত মানুষ চাকরি না পেয়ে ইউটিবে ভিডিও বানিয়ে বাড়িতে মাসে ৫/৬ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন। আমাদের দেশে এমন ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে যারা ইউটিউবে কাজ করে মাসে ২০ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকাইনকাম করে।

ইউটিউব থেকে যে কোন বয়সের লোক খুবই সহজে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ইন্টারনেট বিশ্বের জনপ্রিয় ১০ ওয়েবসাইটের মধ্যে YouTube হচ্ছে একটি। আপনি ইচ্ছে করলেই এখান থেকে কম সময় ব্যয় করে অল্প অভীজ্ঞতা নিয়ে মাসে ভালো মানের টাকা অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। এই জন্য আপনাকে যেটি করতে হবে- প্রথমে বিভিন্ন ভাল মানের ভিডিও YouTube এ আপলোড করতে হবে। ভিডিও তৈরি করার জন্য আপনার মোবাইল ফোনকে ব্যবহার করতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে তৈরি করা যায় ?  ইউটিউব ভিডিওগুলিতে কীভাবে ভিউ বৃদ্ধি করা যায় ? কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করা যায় এবং ইউটিউবে কাজ করলে মাসে কত টাকা উপার্জন করতে পারেন ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের ব্লগে বিস্তারিত পোস্ট রয়েছে।

আপনি যদি ভ্রমণ প্রিয় হন, তাহলে আপনি আপনার মোবাইল ক্যামেরায় বিভিন্ন সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য ফ্রেম করেও ভিডিও বানাতে পারেন। অথবা আপনি যে বিষয়গুলি খুব ভাল জানেন সে সম্পর্কে বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করেও কাজটি করতে পারেন। যারা গৃহিণী তারা চাইলে রেসিপি টিপস এবং গ্রুমিং ভিডিও তৈরি করতে পারেন।

এখনকার স্মার্টফোনগুলিতে ফোনকামেরা গুলি অনেক ভালো, উন্নতমানের, আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে ক্যামেরার সামনে ভিডিও তৈরি করতে পারেন অথবা ক্যামেরার সামনে আসতে না চাইলে মোবাইল দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ডারের মাধ্যমে স্ক্রিন রেকর্ড করে বিভিন্ন ধরণের টিউটোরিয়াল ভিডিও বানাতে পারেন। কিন্তু ভুল করেও কারো নকল করে ভিডিও বানাবেন না বা কারো ভিডিও কপি করে পোস্ট করবেন না, এতে আপনার চ্যানেল টি ব্যান হয়ে যেতে পারে বা ইউটুবে আপনার চ্যানেল টি ডিলিট করে দিতে পারে।

৩। ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম

ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে ইনকাম
   
অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। ফ্রিল্যান্সিং করে বর্তমানে বাংলাদেশের হাজার হাজার লোক ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করছে। এছাড়া বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কাজে লাগানোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করেছে। অনেকে সেই সব সরকারী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং ফ্রিল্যান্সিং থেকে প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন যার মাধ্যমে তারা একটা ভালো এমাউন্টের টাকা ইনকাম করতে সক্ষমও হচ্ছেন।

ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি আপনার প্রতিভা ব্যবহার করে বাড়িতে বসেই অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনি যদি একজন ভাল লেখক হন বা যে কোন বিষয়ে ভাল জ্ঞান থাকে, তাহলে আপনি এটি সম্পর্কে একটি ভাল নিবন্ধ লিখতে পারেন এবং এটির উপর ভিত্তি করে ফ্রীলান্সিং করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনার লেখার মান যদি ভাল হয় তাহলে Freelancing এ আপনার লেখার মূল্য অর্থাৎ টাকা ইনকামের পরিমান দিন দিন বাড়তে থাকবে। এছাড়াও এমন কিছু লোক আছেন যারা এখান থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। এখানে যে নিজের লেখাগুলির মাধ্যমে নিজের জ্ঞানকে যত ভালো ভাবে তুলে ধরতে পারবে সে তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিংয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন থেকে শুরু আরো বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রচুর পরিমানে ডিমান্ড রয়েছে। এক কথায়, আপনার যদি কাজের প্রতি কোনও অভিজ্ঞতা থাকে বা ভালো জ্ঞান থাকে, ফ্রিল্যান্সিং এবং বাড়িতে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা কোনও কঠিন ব্যাপার হবে না।

০৪। গ্রাফিক্স ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে ইনকাম

   
অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গ্রাফিক ডিজাইন অনলাইনে বাড়িতে বসেই উপার্জনের একটি ভাল উপায়। যারা এই কাজে দক্ষ তারা বিভিন্ন নকশা-বিষয়ক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে তাদের নিজস্ব নকশা রাখেন। সেখানথেকে ভিসিটর রা নিজেদের পছন্দ মতো ডিসাইন কিনে নেবে। 

উপরন্তু, ফ্রিল্যান্স বাজারে গ্রাফিক্স ডিজাইনেই একটি বিশাল চাহিদা রয়েছে, এই বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং দ্বারা মাসে স্মার্ট পরিমাণ উপার্জন করা সম্ভব। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজগুলি FiverUpwork ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসের মতো ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন জানা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয় করা সহজ হবে।

এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিশেষত্ব হ'ল এই জাতীয় পণ্যগুলি একাধিকবার বিক্রি করা হয়। অর্থাৎ, একটি ভাল নকশা দীর্ঘ-আসন্ন আয়ের দিকে পরিচালিত করে। গ্রাফিক্স ডিজিনগুলি অনলাইনে এই জাতীয় অনেক ওয়েবসাইটে বিক্রি করা যেতে পারে। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে আপনি প্রাথমিকভাবে ইউটুবে এবং অ্যাডোব ফটোশপ এর সাহায্য  নিতে পারেন যা একদম ফ্রি অফ কস্ট।

০৫। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম

   বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বড় একটি অংশ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া বিপণন বর্তমানে ডিজিটাল বিপণনের একটি প্রধান অংশ। একদিকে যেমন সামাজিক মিডিয়া বিপণনের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন সংস্থাগুলি তাদের পণ্যগুলি প্রচার এবং বিক্রি করে আয় করছে,, অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়া বিপণন সম্পর্কে যাদের ভাল অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপণন করে অনলাইনে বিভিন্ন সংস্থা থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন।

জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এখন আর শুধু বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নয়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি সহজে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ৩-৫ টি ফেসবুক পৃষ্ঠায় প্রচুর সংখ্যক ফলোয়ার থাকলে, আপনি সহজেই বাড়িতে বসেই  বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থা থেকে ফেসবুকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

কারণ ফেসবুক এবং টুইটার এখন যে কোনও সংস্থার পণ্যপ্রচারের জন্য খুব জনপ্রিয় মিডিয়া। এই ক্ষেত্রে, যদি আপনার কোনও জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থাকে তবে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। তবে তাদের ধরে রাখার জন্য প্রচুর ধৈর্য এবং প্রাসঙ্গিকতা থাকা গুরুত্বপূর্ণ, যার মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান ফলোয়ার তৈরি করা।

তাছাড়া বর্তমানে ফেসবুকে পন্যের পেইড প্রমোশন করার সিস্টেম থাকায় অল্প টাকা খরছ করে ফেসবুকে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেওয়া সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে আপনার যদি কোনো ছোট ব্যবসা থাকে, তাহলে আপনি ফেসবুকে আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিয়ে পণ্য বিক্রি বাড়াতে পারেন।

৬। ই-কমার্স সাইট থেকে ইনকাম

প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে, মানুষ দিনে দিনে অনলাইন ক্রয়ের উপর খুব নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। এর ফলে, বিপুল সংখ্যক ব্যবসা ই-কমার্স সাইট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সফল হচ্ছে। আপনি চাইলে বন্ধুদের সাথে বা নিজেই আপনার নিজস্ব ই-কমার্স সাইট শুরু করতে পারেন। বর্তমানে ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে ইনকাম করার প্রবনতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ই-কমার্স সাইটগুলি ব্যবহার করে সফল হওয়ার জন্য আপনাকে কিছু কৌশল ব্যবহার করতে হবে। আপনি আপনার হাতের লাগালে থাকা জিনিসগুলি যেগুলি এখনো অনলাইনে সহজে পাওয়া যায় না সেই সব জিনিস নিয়ে কাজ করতে পারেন। মানুষের দোরগোড়ায় ভাল মানের পন্য পৌঁছে দিন প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কেটের তুলনায় কিছুটা কম মূল্যে। বিশ্বাস করুন আপনি যত টা কঠিন ভাবছেন এটা করা তার থেকে অনেক সহজ শুধু আপনাকে শুরু করতে হবে এবং ধর্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে।

৭। এসইও করে ইনকাম

বর্তমানে অনলাইনে লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট রয়েছে। সবাই তাদের ব্লগকে গুগল সার্চের প্রথম পৃষ্ঠায় আনার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। তবে অনুরূপ ওয়েবসাইটগুলির সাথে প্রতিযোগিতা করে গুগলের প্রথম পৃষ্ঠায় আসা সহজ নয়।  এই কারণেই সবাই এখন SEO করার দিকে মনোনিবেশ করছে। যার জন্য SEO বিশেষজ্ঞদের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।

ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। যে ওয়েবসাইটে আপনি টি-শার্ট বাজারজাত করেন। আপনি চান যখন কেউ টি-শার্ট লিখে গুগলে অনুসন্ধান করে তখন আপনার ওয়েবসাইটটি শীর্ষে আসুক। এটি করার জন্য, আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের SEO করতে হবে এবং একজন SEO বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা নিতে হবে।

তাই কেউ যদি SEO ভাল ভাবে শিখেতে পারেন, তাহলে যে কোনও সংস্থার SEO বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারেন। তাছাড়া, আপনার যদি কোন ব্যক্তিগত ব্লগ থাকে, তাহলে ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য আপনাকে সেই ব্লগে SEO করতে হবে। সেই হিসেবে আপনি ভালোভাবে এসইও জানলে ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

৮। অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম

আপনার যদি ছবি তোলার অভ্যাস থাকে বা আপনি যদি ভাল ফটোগ্রাফার হন তবে আপনি অনলাইনে ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনি চারপাশের প্রকৃতি, স্থান, মানুষ, জিনিস, খাবার সহ সবকিছুর ভাল ছবি তুলতে পারেন এবং অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।

শাট্টারস্টক, ফোটোলিয়া, আইস্টকফটো, ফটোবিককেটের মত বড় বড় সাইটগুলি রয়েছে যেখানে আপনি আপনার তোলা ফটো জমা দিতে পারেন। যখনই কোনও গ্রাহক আপনার তোলা কোন ছবি কিনবে, আপনি আপনার ছবির নির্দিষ্ট দাম পেয়ে যাবেন। অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করার বিষয়ে আমাদের ব্লগে একটি বিস্তারিত পোস্টও রয়েছে।

৯। এন্ড্রয়েড এপস থেকে ইনকাম

একটি ব্লগের মতো, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনগুলি দিয়েও প্রচুর ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারে। এই ক্ষেত্রে আপনার নিজের একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ থাকা দরকার এবং এটি গুগল প্লে স্টোরে এভেইল্যাবল  হওয়া উচিত। যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি বিপুল সংখ্যক লোক ডাউনলোড করে ব্যবহার করে তবে আপনি অ্যাপগুলি মনিটাইজ করে অনলাইনে উপার্জন করতে পারেন।

আপনি সাধারণত দেখেন যে যখন আমাদের মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ চালু থাকে, তখন কোনও অ্যাপ চালু হওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপন শো হয়। এই বিজ্ঞাপনগুলির সাহায্যেই এপ্লিকেশনের মালিক ইনকাম করে।

আপনার যদি একটি ভাল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন থাকে তবে আপনি গুগল অ্যাডমোবের (AdMob) জন্য আবেদন করতে পারেন। গুগল আপনার AdMob অ্যাকাউন্ট অনুমোদন করলে, আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপগুলিতে গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতে পারেন। যত বেশি মানুষ সেই বিজ্ঞাপনটি দেখবেন, আপনার আয় তত বাড়বে।

তাছাড়া এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়। আপনার একটি এন্ড্রয়েড এপস থাকলে Facebook Audience Network এর মাধ্যমে ফেসবুকের বিজ্ঞাপন আপনার এন্ড্রয়েড এপসে ব্যবহার করে ফেসবুক থেকে ভালোমানের টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রেও আপনার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে থাকতে হবে। 

১০। জরিপ বা সার্ভে থেকে টাকা ইনকাম

আপনি 5 থেকে 30 মিনিট কোনও সংস্থা বা ব্র্যান্ড পণ্য সার্ভে বা জরিপ করে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অনলাইন সার্ভে করে আপনি উপরের যে কোনও উপায় থেকে আরও উপার্জন করতে পারেন।

জরিপ পরিচালনার জন্য আপনাকে উল্লিখিত পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে নিজের মতামত এবং প্রতিক্রিয়া দিতে হবে। সার্ভে বা জরিপের ক্ষেত্রে, আপনাকে সেই পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের ভালো এবং ইন্টেরেস্টিং উত্তর দিতে হবে, অতিরিক্ত কিছু লিখতে হবে না। সার্ভের সংখ্যা ও দৈর্ঘ্য, আপনার প্রোফাইলের উপর নির্ভর করবে, আপনার ওপিনিয়ন বা সার্ভে যত ভালো এবং সৎ হবে আপনি তত বেশি সার্ভের অফার পাবেন এবং আপনি প্রতিটি জরিপের জন্য $1 থেকে $20 উপার্জন করতে পারেন।

১১। বিজ্ঞাপন দেখে আয়

অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব বলে অনেকেরই ধারণা নেই। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপনদাতাদের সংখ্যা এতটাই বেশি যে এটি আশ্চর্যজনক। বর্তমানে এমন খুব কম সংখ্যক সংস্থা রয়েছে যারা ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দেয় না।

ইন্টারনেটে এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যারা এই কোম্পানিগুলো থেকে তাদের বিজ্ঞাপন জনসাধারণের কাছে দেখানোর চুক্তি করে, এবং পরে তারা বিজ্ঞাপনটি দেখার জন্য তাদের লভ্যাংশ থেকে বিজ্ঞাপনটি দেখার ব্যক্তিকে কিছু অর্থ প্রদান করে।

১২। প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ইনকাম করুন

প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম

    আপনি যদি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হন, যেমন - গণিত, ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, Humanities ইত্যাদি। তাহলে আপনি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ইন্টারনেটে অন্যদের সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

আপনি যদি তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেন, তাহলে ইন্টারনেটে অনেক সাইট আছে যেগুলোতে জয়েন করার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করা হবে। তাদের সাইটে জয়েন করার মাধ্যমে ঐ কোম্পানী হতে আপনি ভাল মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি বেশ চালাক এবং বুদ্ধিমান হতে হবে। আপনি বুঝতেই পারছেন আপনার চালাকি এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে এখান থেকে টাকা আয় করতে হবে।

১৩।Flipkart, EBAY and AMAZON এ Products বিক্রি

আপনি হয়তো জানেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য কেনার জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলি হল Flipkart, Ebay and Amazon। এখানে লোকজন তাদের বিভিন্ন ধরনের Products বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন।  আপনার পন্যটি ক্রেতাদের পছন্দ হলে তারা পণ্যটি কেনার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

আপনি যদি আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারেন এবং একটি ভাল বিক্রেতা হতে পারেন, আপনি অন্য কোথাও থেকে কম দামে বিভিন্ন আইটেম ক্রয় এবং একটি অনলাইনে ভাল দামে বিক্রি থেকে উপকৃত হতে পারেন। তবে এই সুবিধাটি পেতে আপনাকে প্রথমে একজন ভাল মানের বিক্রেতা হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।

১৪। ডাটা এন্ট্রি

অনলাইনে সবচেয়ে সহজ কাজগুলির মধ্যে একটি হল ডেটা এন্ট্রি। এই ক্ষেত্রে, তবে, এতে আয় খুব কম। তবে, স্বয়ংক্রিয়তার কারণে এই জাতীয় কাজ এখন খুব কমই পাওয়া যায়। যাদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং দ্রুত টাইপিং দক্ষতা রয়েছে তারা এই জাতীয় কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ রয়েছে। তবে যাদের কোনো কাজে দক্ষতা থাকে, তারা সহজে কাজ পান এবং দ্রুত আয় বাড়াতে পারেন।

১৫। পিটিসি (PTC)

অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে টাকা দেওয়া হয়। এ ধরনের সাইটকে পিটিসি (PTC) সাইট বলে। প্রকল্প শুরুর আগে নিবন্ধন করতে হয়। তবে মনে রাখবেন PTC সাইটগুলি বেশিরভাগই নকল। সুতরাং কাজ করার আগে, আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে এটি প্রকৃত সাইট কিনা। কখনও কখনও আপনি বন্ধুত্বের রেফার করেও উপার্জন করতে পারেন।

১৬। ফরম পোস্টিং

অনলাইন আয়ের জগতে এই কাজটি সবচেয়ে সহজ বলে মনের করা হয়। এটা করার জন্য আপনাকে খুব বেশি কিছু জানতে হবে না; আপনি যদি ইচ্ছামতো ইন্টারেষ্টিং প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে জানলেই হবে।

Quora, Reddit, Stack Overflow ইত্যাদি সহ অনলাইনে অনেক ফর্ম রয়েছে। তারা তাদের প্লাটফর্মে প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে নিয়োগ করে।

কেন প্রশ্ন করার জন্য হায়ার করে? তাদের ফর্মকে ভিসিটরস বাড়ানোর জন্য এবং যার মাধ্যমে ওদের ইনকাম বেশি হয়।

কেথায় এই কাজ পাওয়া যায়? Good question!!, এই জিনিসগুলি ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে উপলব্ধ রয়েছে।

প্রদত্ত লিংক ৩টিতে ক্লিক করলে যায়নি ডাইরেক্ট ওদের বিপ্লাটফর্মে চলে যাবেন।  সেখানে নিজের একটি একাউন্ট তৈরী করুন। কাজ করতে বিট করুন, হয়তো আপনার একটি সাক্ষাৎকার (ইন্টারভিউ) হবে (সব প্লাটফর্ম নেয় না); এবং আপনি ইন্টারভিউ তে উত্তীর্ণ হলে আপনি কাজটি পেতে পারেন। সাধারণত প্রশ্নের সংখ্যা এবং তার জনপ্রিয়তা ও বভিউসের উপর ভিত্তি করে অর্থ প্রদান করা হয়।

অবশ্যই পড়বেন- বাড়িতে বসেই ৭ দিনের মধ্যে ওজন কমান ৩ টি সহজ উপায়ে।

১৭। কন্টেন্ট রাইটার

আপনি যদি কোনও বিষয়ে ভাল বিষয়বস্তু লিখতে পারেন তবে আপনি এটি দিয়ে প্রচুর উপার্জন করতে পারেন।

বেশিরভাগ সময়, একজন ওয়েবসাইটের মালিক ব্লগে আরও আকর্ষণীয় এবং আরও বেশি দর্শনার্থী পেতে চান। কিন্তু তিনি সময় সহ বিভিন্ন কারণে বিষয়বস্তু লিখতে পারেন না, তাই বিষয়বস্তু লেখার জন্য কাউকে ভাড়া করে থাকেন।

এটি আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ। তবে এটি করার জন্য আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে।

প্রথমত, আপনাকে সুন্দরভাবে নিজের কিছু লেখার (Demo) মধ্যে দিয়ে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে এবং একটি ফ্রিল্যান্সিং বাজারে প্রোফাইলের মাধ্যমে সেটিকে তুলে ধরতে হবে।

  • প্রথমে সুন্দর করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে সুন্দর ও আকর্ষনীয় ভাবে নিজেকে ও কাজকে প্রফাইলের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হবে।
  • রাইটিং রিলেডেট সম্পাদনার কাজ খুঁজুন এবং তাতে বিড বা এপ্লাই করুন।
  • আপনার ওয়েবসাইটের মালিকের সাথে কথা বলে এবং তাকে আপনার লিখার কিছু নমুনা পাঠিয়ে আপনাকে কাজটি দেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটের মালিককে রাজি করাতে হবে।

একাজে কত টাকা পর্যন্ত আয় করতে যায়?

  • কত টাকা উপার্জন করা যেতে পারে তা আপনার দক্ষতা এবং কাজের উপর নির্ভর করে। যাইহোক, প্রতিটি লেখার পাঠ্যের দৈর্ঘ্যের উপর ভিত্তি করে $৫-$১০০+ আযায় করা সম্ভব।
  • এমনকি যদি আপনি একজন নতুন লেখকও হয়ে থাকেন, তাহলেও আপনি প্রতি 100 শব্দে $1 উপার্জন করতে পারেন।

১৮। ভিডিও এডিটিং

ভিডিও আবেগ বা ভাব প্রকাশের সবচেয়ে শক্তিশালী উপায়। ভাল মানের ভিডিও গুলি সম্পাদন করতে ভাল মানের ভিডিও এডিটিং-এর প্রয়োজন।

বর্তমান ব্যস্ত জীবনে সবাই কোনো লেখা পড়ার থেকে ভিডিও দেখা বা ডিজিটাল কনটেন্ট দেখাটা যে বেশ পছন্দ করে তা ইউটুবের জনপ্রিয়তা দেখলেই বোঝা যায়।

আমরা ইন্টারনেটে যে সমস্ত ভিডিও-গুলি দেখি তার 99.99% ভিডিওই এডিট করা। এডিটিং এর মূল উদ্দেশ্য হলো ভিডিওটির গুণমান উন্নত করা।

একটি ভিডিও, নাটক বা চলচ্চিত্র বিভিন্ন ভিডিও পার্ট জোড়া দিয়ে তৈরি করা হয়। এই সমস্ত করতে একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর প্রয়োজন।

বর্তমানে, যেহেতু ভিডিও সামগ্রীর চাহিদা বেশি, ভিডিও এডিটরদেরও প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনি সহজেই ভাল মানের ভিডিও এডিটিং শিখে এই সুযোগটি ব্যবহার করতে পারেন।

কাজকরে কত আয় করতে পারবো? ভালো প্রশ্ন! আপনি মাসে কত উপার্জন করেন তা আপনার অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। যাইহোক, একটি অনুমান সঙ্গে, আপনি সহজেই প্রতি ভিডিও / প্রজেক্টে $৫-$১০০০+ উপার্জন করতে পারেন।

আপনি যদি ভাল কাজ জানেন, আপনি যে কোনও প্রযোজনা সংস্থায় কাজ পেতে পারেন। আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

১৯। এস ই ও স্পেশালিস্ট

ইন্টারনেট জগতে সার্চ র ্যাঙ্কিং যত ভাল হবে, তত বেশি ভিসিটর্স বাড়বে। আর যত বেশি ভিসিটর্স, যায় ও তত বেশি।

গুগলে ভালো র‌্যাংক পেতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর অন্য কোনও বিকল্প নেই। বর্তমানে এই কাজের চাহিদা আকাশচুম্বী। যদি SEO না করা হয় তবে সাইটটিতে ভিসিটরদের ভিড় হবে না।

যেহেতু SEO একটি প্রযুক্তিগত বিষয় এটি শিখতে কিছুটা সময় নেবে, তবে শেখার পরে কাজের কোনও অভাব হবে না। এটা শিখে আপনি সহজেই মাসে $৫০০-$৫০০০+ উপার্জন করতে পারেন।

আপনি যদি ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারেন তবে আপনি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে চাকরির প্রস্তাবও পেতে পারেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভাবার দরকার নেই, দরকার শুধু স্কিলের, কাজ করতে জানতে হবে। বর্তমানে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন অনেক লোক গুগল এবং ফেসবুকের মতো বড় সংস্থাগুলিতে কাজ করছেন।

২০। ওয়েব ডিজাইন

বর্তমানে কোটি কোটি ওয়েবসাইট সক্রিয় (Active) আছে। এগুলির সবকটিই ওয়েব ডিজাইনারদের দ্বারা ডিজাইন করা।

প্রতিদিন নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে কারণ সবকিছুই এখন ডিজিটাইজড। উপরন্তু, প্রতিটি সংস্থা নিজেদের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করছে। এখন একবার ওয়েবডিজাইনারদের জন্য এই কাজের চাহিদা সম্পর্কে চিন্তা করুন।

ওয়েবডিজাইনারের কাজ কি? তাদের কাজ একটি সাইটের ফন্টসাইট ডিজাইন করা, অর্থাৎ সাইট টি খুললে একজন ভিয়ারের সামনে ওয়েবসাইট টি কি রকম দেখাবে, তাতে কি কি অপশনস এবং ফাঙ্কশনস (Functions) থাকবে সে সব ডিসাইন করা। 

কাজ কোথায় পাব? যে কোনও মার্কেটপ্লেসে আপনার কাজের পোর্টফোলিও দিয়ে প্রোফাইল গুলি তৈরি করুন এবং বিভিন্ন কাজে বিড বা এপ্লাই করুন। যদি বায়ার (Buyer) যদি আপনাকে কাজটি দিতে অগ্রহী হয় তাহলে আপনি কাজটি করে দিন।

একজন ডিজাইনারের বেতন কত? আপনি প্রতিটি  ওয়েবসাইটের জন্য $৫০-$৫০০+ চার্জ করতে পারেন। অনেকে ঘন্টা প্রতি চুক্তি কাজ করে, যেমন প্রতি ঘন্টায় $৩০। কিন্তু এই কাজটি অতটাও সোজা নয়,কাজটি শেখার জন্য ধৈর্যের প্রয়োজন।

অবশ্যই পড়বেন- ওজন কমাতে কত দিন সময় লাগে? কত দিনে আপনি আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারবেন? ওজন কমাতে কি করতে হবে ?

২১। পস (Apps) ডেভলপার:-

স্মার্টফোন ছাড়া ডিজিটাল জগতের কথা এখন ভাবাই যায় না। প্রতিটি মানুষের হাতে এখন অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস (IOS) ফোন আছে। এই ফোনগুলি অ্যাপ ছাড়া অচল। প্রতিটি ফোন এখন ভুরি ভুরি এপস (Apps) থাকে।

আশাকরি এটুকু পরেই একটা অনুমান করে নিয়েছেন যে এই কাজে কত টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। এটি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য একটি বিশাল সুযোগ। আপনি এই সুযোগটি সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাপ্লিকেশনগুলি ডেভেলপ করে অনলাইন থেকে প্রচুর উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।

এপস ডেভেলপাররা তাদের এপস বাজারজাত করার জন্য সাধারণত ২ টি প্লাটফর্ম ব্যবহার করে থাকে। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য প্লেস্টোর এবং অ্যাপলের জন্য অ্যাপস স্টোর। আপনি যে কোনও একটি বা দুটোই শিখতে পারেন। কিন্তু আপনি যা শিখবেন তা ভাল করে শিখে নেবেন কারণ এই ফ্রীল্যাংসিং-এর জগতে অদক্ষদেড় কোনো দাম নেই।

প্রতিটি অ্যাপ বানাতে কত বাজেট লাগবে তা দেখতে Upwork.com যান। আপনি একটি অ্যাপ ডেভেলপ করে $1000-$5000+ উপার্জন করতে পারেন।

২২। গেম ডেভলপার

যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে কিন্তু অনলাইনে গেম খেলে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রতিদিন অনেক নতুন নতুন গেম তৈরি হচ্ছে।

একটি গেম তৈরি করার জন্য কত বাজেট থাকে তা জানলে আপনার মুখ হা হয়ে যাবে। পাবজি (PUBG) গেম তৈরি করার জন্য বাজেট ছিল ১০০ হাজার  ডলার ($)। তাহলে বুঝতে পারছেন এই কাজটি কত টাকার খেলা !!!

যেহেতু গেমগুলি সাধারণত বড় প্রকল্প, টিমওয়ার্ক ছাড়া এগুলি সম্ভব নয়। তাই আপনাকে ভাল ইংরেজি জানতে হবে।

কাজটি মোটামুটি কঠিন হওয়ায় শিখতে ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগতে পারে। ধৈয ধরে কাজটি একবার ভালো মতো শিখে নিলে কাজ পেতে অসুবিধে হবে না।

এই লেখাটি কাদের জন্য?

১। যারা সত্যিই তাদের পড়াশোনা বা চাকরির পাশাপাশি অনলাইন থেকে আয় করতে চান

২। যারা অনেক ধৈর্য্যশীল

৩। যারা কঠর পরিশ্রমী

এই লেখাটি কাদের জন্য নয়?

  • যারা মনে করেন যে সামান্য সময়ের মধ্যে দুই বা চার দিনের মধ্যেই অনলাইনে হাজার হাজার ডলার উপার্জন করা যেতে পারে। 
  • যারা কঠোর পরিশ্রম না করেই শুধু ডলারের পাওয়ার আশা করে।
  • যারা কোন কাজে অধৈর্য্য হয়ে যায়
  • যারা ইতিমধ্যে সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং করছেন। (কারণ এই প্রবন্ধটি নতুনদের কথা মাথায় রেখে লেখা হয়েছে)
অনলাইনে উপার্জনের সমস্ত জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য উপায় সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনার যদি ধৈর্য এবং ইচ্ছাশক্তি থাকে তবে আপনি আমাদের দেওয়া নির্দেশাবলী অনুসরণ করে অল্প সময়ের মধ্যে অনলাইনে আয় করতে সক্ষম হবেন।

আসলে অনলাইন ইনকাম করা ১/২ মাসে সম্ভব হয় না। আপনি যদি প্রকৃতপক্ষে অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে কমপক্ষে ৬ মাস মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে। কেউ যদি ৬ মাস নিয়মিত ভাবে মনোযোগের সাথে কাজ করেন, তা হলে ৬ মাসের মধ্যেই প্রতি মাসে একটি মোটা পরিমান টাকা অনায়াসেই  উপার্জন করতে পারবেন।

PS

Hi, I’m Pulak Sarkar, your go-to guide for living a vibrant, healthy, and financially thriving life! 🌟 My passion lies in helping others unlock their true potential by blending smart wellness tips with practical money-making strategies. Whether it’s achieving peak fitness, building wealth, or embracing a balanced lifestyle, I’m here to inspire and empower you every step of the way. Let’s create a life you love—healthy, wealthy, and full of possibilities! 💪💰✨

If you have any doubts or quarry, Please Let me know.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন