রিসেলিং বলতে কী বোঝায় ? রিসেলিং আসল না নকল ? কিভাবে একটি রেসলিং বা পুনর্বিক্রয় ব্যবসা শুরু করা যায় ? রিসেলিং এপ্স গুলি কি কি ? জেনে নিন সব বিস্তারিত তথ্য।

রিসেলিং বলতে কী বোঝায় ? রিসেলিং আসল না নকল ? কিভাবে একটি রেসলিং বা পুনর্বিক্রয় ব্যবসা শুরু করা যায় ? রিসেলিং এপ্স গুলি কি কি ? জেনে নিন সব বিস্তারিত তথ্য।

Reselling meaning in Bengali - পুনরায় বিক্রয় করা

রিসেলিং বলতে কি বোঝায় ?

রিসেলিং কথার অর্থ হল কোনো পণ্য কম দামে কিনে সেটাকে পুনরায় একটু বেশি দামে ডিক্রি করা। কোনো খুচরো ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে   বড় বড় শপিং মল (Shoping Mall), সব কিছুই রিসেলিং ব্যবসার অন্তরগত।

অনলাইন উদ্যোক্তা (entrepreneur) হতে ইচ্ছুক? চিন্তা করবেন না! ভারতে বা বাংলাদেশে (Online Reselling Business in India & Online Reselling Business in Bangladesh) অনলাইন Reselling ব্যবসা কীভাবে শুরু করা যায় সে সম্পর্কে এই নিবন্ধে আমি সেটি আপনার সামনে পরিষ্কার করে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেছি।

আপনি কীভাবে অনলাইন উদ্যোক্তা (entrepreneur) হতে পারেন?

  • একটি মজবুত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন
  • আপনার প্রতিযোগিতা কার কার সাথে সেটা বুঝে নিন
  • নিজের ভ্যালু  (Value) বুঝুন
  • বাজারকে ভালোভাবে অধ্যয়ন বা পর্যবেক্ষণ করুন
  • একটি ভাল কোচ (coach) খুঁজুন
  • অর্থ ব্যবস্থাপনা (money management) শিখুন, নিজের টাকা কোথায় কিভাবে খরচ করবেন সেই বেপারে জানুন
  • স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যগুলি নির্ধারণ করুন
  • বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে আপডেট করতে শিখুন
  • আপনার ব্যবসায়িক মুনাফা পুনরায় সেই ব্যবসাতেই বা অন্য কোনো ব্যবসায় পুনঃবিনিয়োগ (Re-invest) করুন

যাইহোক, অনলাইন উদ্যোক্তা (entrepreneur) হওয়া খুব কঠিন কাজ নয়। সবকিছু একসাথে না ভেবে ছোট ছোট বিষয়গুলি থেকে ভাবতে শুরু করুন।

কীভাবে অনলাইন পুনঃবিক্রয় (Reselling) ব্যবসা শুরু করবেন?

আপনি কি আগে কখনও Reselling ব্যবসার কথা শুনেছেন? নিশ্চই, কোথাও না কোথাও তো সুনেইছেন! Reselling ব্যবসাটি অবিশ্বাস্যভাবে (incredibly) লাভজনক এবং অর্থ উপার্জনের সেরা বিকল্পগুলির মধ্যে একটি হতে পারে, বিশেষত তাদের জন্য যারা নতুন ব্যবসায় প্রবেশ করেছে। কিন্তু, আরও এগিয়ে যাওয়ার আগে, গভীরভাবে বোঝা যাক একজন রিসেলার (reseller) কে? এবং রিসেলার (reseller) ব্যবসা কী?

অবশ্যই পড়বেন- বিগিনারদের (Beginner) জন্য কোন ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলি সেরা?

রিসেলার (reseller) কারা?

একজন রিসেলার (reseller) একজন ব্যক্তি বা কোনো সংস্থা হতে পারে। এই রিসেলার-রাই বিভিন্ন পনি গুলি কেনে (Buy), কিন্তু এগুলি নিজেরা ব্যবহার করার পরিবর্তে তারা এগুলিকে আবার অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দেয়। সাধারণত, পুনর্বিক্রেতারা (reseller), পাইকার (wholesalers) এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের (distributors) কাছ থেকে কম দামে প্রচুর পরিমাণে পণ্য ক্রয় করে এবং তারপরে সেগুলি সেই-সব জায়গাগুলিতে বিক্রি করে যেখানে পণ্যগুলি খুব কমই পাওয়া যায় এবং যেখানে সেই পণ্যগুলির দাম অনেক বেশি। 

আধুনিক সময়ে, আপনার যদি বাজার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে তাহলে পুনরায় বিক্রয় (resell) আপনার জন্য একটি খুব লাভজনক ব্যবসা হিসাবে বিবেচিত হবে।

পুনরায় বিক্রয় (reselling) ব্যবসা কী?

সাম্প্রতিক সময়ে পুনরায় বিক্রয় (reselling) ব্যবসা ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অ্যামাজন(Amazon), ফ্লিপকার্ট(Flipkart), স্ন্যাপডিল (SnapDeal) ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ই-কমার্স জায়ান্টরা (e-commerce giants) বিশ্বব্যাপী বাজারে অনেক পুনর্বিক্রেতার উত্থান করেছে। এটি দিওয়ালির সময় দিয়াসের (Diyas) মতো একটি মরসুমি পণ্য (seasonable product) হোক বা হোলির সময় রঙ, অথবা অন্যান্য ভোগ্য/ব্যবহারযোগ্য আইটেম যেমন কালি, খেলনা, ভিডিও গেম, পোশাক, জুতা, ইলেকট্রনিক্স বা অন্য কোনও আইটেম। 

পণ্য ক্রয়ের উৎস বিবেচনা করার পরে আপনি যে পণ্যটি রিসেল করতে চান তা বেছে নিতে পারেন এবং একটি অনলাইন পুনঃবিক্রয় (reselling) ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

আপনি যে কোন কিছু বিক্রি করতে পারেন যে কারণে আপনার পুনরায় বিক্রয় (reselling) অনলাইন দোকান উচ্চ ডেলিভারি খরচ, অতিরিক্ত ব্যয়, এবং ব্যয়বহুল স্টক খরচ ছাড়াই বিভিন্ন ডোমেইনে রেজিস্টার করতে পারেন। 

কিছু অনলাইন উৎস (source) যেখান থেকে পুনর্বিক্রেতা বা রিসেলাররা তাদের পণ্য কেনে তার মধ্যে রয়েছে আলিবাবা(Alibaba), মিশো(Meesho), ইবে(eBay) বা স্থানীয় বাজার। 

রিসেলিং আসল না নকল ?

রেসলিং করা অর্থ উপার্জন করাটা ১০০% সত্য। অনলাইনে হোক বা অফলাইনে, যে কোনো মধ্যমে রিসেলিং করে লাভবান হওয়া সম্ভব।

ডিস্ট্রিবিউটরশিপ (Distributorship) থেকে রিসেলিং ব্যবসা আলাদা কীভাবে?

পুনরায় বিক্রয় বা রিসেলিং ব্যবসা এবং ডিস্ট্রিবিউটরশিপের (Distributorship) মধ্যে পার্থক্য জানার আগে, আসুন বোঝা যাক একজন রিসেলার এবং ডিস্ট্রিবিউটর এর মধ্যে পার্থক্য কি। 

আমি ইতোমধ্যে আপনাদের রিসেলার সম্পর্কে জানিয়েছি, তাই ডিস্ট্রিবিউটর (distributor) দিয়ে শুরু করা যাক। 

১. ডিস্ট্রিবিউটর (distributor) কাদের বলে?

একজন ডিস্ট্রিবিউটর হল পণ্য উৎপাদক বা উৎপাদন ইউনিট এবং অন্যান্য ব্যবসা বা সরবরাহ শৃঙ্খলের (supply chain) মধ্যে একটি মধ্যস্থতাকারী সত্তা (intermediary entity) -- যা খুচরা বিক্রেতা, পাইকার, রিসেলার বা সিস্টেম ইন্টিগ্রেটর (system integrator) হতে পারে। অন্য কথায়, এটি ব্যবসা বা ডিলারদের জন্য পণ্য বা পরিষেবা উপলব্ধ করার প্রক্রিয়া। 

২. পুনরায় বিক্রয় ব্যবসা বনাম ডিস্ট্রিবিউটরশিপ (Reselling business vs. Distributorship)

ক) প্রোডাকশন ইউনিটের সাথে সম্পর্ক

রিসেলারদের তুলনায় পণ্য প্রস্তুতকারক বা উৎপাদন ইউনিট বিভাগের সাথে একজন ডিস্ট্রিবিউটরের সম্পর্কটি বেশি মজবুত হয়। 

রিসেলার্স (resellers) পণ্য উৎপাদকদের সাথে কোনো সম্পর্ক গঠন করে না কারণ তারা পাইকার বা ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছ থেকে পণ্যগুলি ক্রয় করে এবং গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে। যাইহোক। কিন্তু পরিবেশক বা ডিস্ট্রিবিউটররা সরাসরি পণ্য নির্মাতাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে পণ্য ক্রয় করে এবং পাইকার, খুচরা বিক্রেতা এবং রিসেলারদের সরবরাহ করে। 

খ) স্টক ম্যানেজমেন্ট

রিসেলারদের বিভিন্ন আইটেমগুলি বিক্রি করার জন্য সেগুলি সঞ্চয় করে রাখার বা পণ্যগুলির স্টক (stock) রাখার প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে, ডিস্ট্রিবিউটররা তাদের পণ্যগুলিকে একটি নিদিষ্ট জায়গায় জমা করে রাখে, কারণ তাদের নির্মাতাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে পণ্য কিনতে হয়, এবং পণ্যগুলি রাখার জন্য তাদের প্রচুর স্টোরেজ ক্ষমতা এবং গুদামজাতকরণ করার পরিষেবা রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে হয়। 

ডিস্ট্রিবিউটররা বিশাল ইনভেন্টরি(inventory) ধরে রাখে, রক্ষণাবেক্ষণ করে এবং পরিচালনা করে, যার ফলে তারা পণ্যগুলি দক্ষতার সাথে বিক্রি করতে পারে। যাইহোক, পুনর্বিক্রেতারা পণ্যটি স্টকে রাখে না কারণ পুনরায় বিক্রয় মডেলটি চাহিদা-ভিত্তিক (demand-based approach) পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে। যেহেতু তাদের ব্যবসায়িক মডেল এই পদ্ধতি অনুসরণ করে, তারা কেবল মাত্র সেই আইটেমগুলি সংগ্রহ করে যার জন্য গ্রাহকরা ইতিমধ্যে অর্ডার দিয়েছেন। যতক্ষণ না রিসেলাররা কোনো অর্ডার পান, তারা ডিস্ট্রিবিউটর বা অন্যান্য উৎস থেকে কোনও পণ্য কেনেন না।

অবশ্যই পড়বেন- অনলাইন টাকা ইনকাম সাইট।  জেনে নিন কিছু অনলাইন ইনকামের ১০০% জেনুইন ওয়েবসাইটের বেপারে।

অনলাইন রিসেলার হওয়ার উপকারিতা

১. সময়ের নমনীয়তা (Flexibility of Time)

আপনি যে কোনও জায়গা থেকে রিসেলিং ব্যবসাটি করতে পারেন, তা আপনার বাড়ি হোক বা অফিস হোক বা এমনকি আপনি ছুটিতে থাকলেও এই কাজ করতে পারেন। আপনার যা প্রয়োজন তা হল একটি স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ এবং একটি ভাল ইন্টারনেট সংযোগ। 

অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা শুরু করা খুব সহজ, কারণ এর জন্য পূর্ববর্তী কোনও কাজের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। এমনকি যদি আপনি একজন শিক্ষানবিস(Student) হিসাবে একদম শূন্য (০) থেকে শুরু করেন, তবুও আপনি বিস্ময়কর কাজ করতে পারেন এবং অপরিসীম সাফল্য অর্জন করতে পারেন। 

২. বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই

আপনি ন্যূনতম বিনিয়োগের সাথে (অফলাইন) বা ১টাকা খরচ না করেও (অনলাইন) রিসেলিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এর একমাত্র কারণ হল আপনি ক্রয় এবং বিক্রয় প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত, উত্পাদন প্রক্রিয়ায় নয় (যার জন্য আপনাকে কাঁচামাল কিনতে হবে এবং শ্রম ব্যয় এবং অন্যান্য অনেক ওভারহেড বহন করতে হবে)। আপনি কোনও ব্যবসায়িক উৎস থেকে পণ্যগুলি ক্রয় করেন এবং সেগুলি শেষ ব্যবহারকারী/গ্রাহকদের কাছে আরও বেশি দামে বিক্রি করেন। 

আপনার পাইকারি পণ্যের তালিকা বজায় রাখার জন্য আপনার কোনও গুণমান নিয়ন্ত্রণ বা মোটা পরিমাণ বিনিয়োগ করার প্রয়োজন নেই। এটি শূন্য বিনিয়োগসহ একটি ব্যবসা, তাই একটি অনলাইন পুনঃবিক্রয় ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবতে পারেন। 

৩. লাভজনক ব্যবসায়িক পরিকল্পনা

যে কেও রিসেলিং ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারে। বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম ভারতে এবং বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে সেরা রিসেলার ব্যবসার সুযোগ সরবরাহ করে, যার মধ্যে রয়েছে অ্যামাজন সেলার মার্কেট প্লেস(Amazon Seller Market Place), ইবে(eBay), ওএলএক্স ইন্ডিয়া(OLX India), ফেসবুক বাই অ্যান্ড সেল গ্রুপস(Facebook Buy and Sell groups), গ্লোরোড(GlowRoad), মিশো(Meesho), অফারআপ (OfferUp) এবং আরও অনেক। 

৪. ব্যবসা শুরু করা সহজ

আপনি যেদিন অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা শুরু করবেন সেদিনই আপনি পণ্য বিক্রি করা শুরু করতে পারেন। আপনাকে কেবল নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার প্ল্যাটফর্ম, তা ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ,যাই হোক না কেন, সেখানে যেন লোকের সমাগম বেশি হয়।

একবার এটি সম্পন্ন হয়ে গেলে, আপনি বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত পণ্য-তালিকাগুলি পোস্ট করতে পারেন এবং আপনি একই দিনে উপার্জন এবং মুনাফা অর্জন শুরু করতে পারেন। অবশ্যই, আপনার ইনকাম আপনার পণ্য বিক্রির পরিমানের উপর নির্ভর করবে। 

৫. নানান ধরণের পণ্য বিক্রির সুবিধা

আপনি একাধিক ধরণের পণ্য বিক্রি করতে পারেন যা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে বা নাও হতে পারে। এটি রিসেলিং ব্যবসার অন্যতম সর্বোত্তম অংশ যা এটি পুনর্বিক্রেতাদের বারিসেলারদের নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে রাখে না। উদাহরণস্বরূপ, যদি পুনর্বিক্রেতারা জ্যাকেট দিয়ে অনলাইন পুনঃবিক্রয় (reselling) ব্যবসা শুরু করে, তারা তাদের অনলাইন ব্যবসায় কিছুটা বৃদ্ধি আনার জন্য জ্যাকেটের পাশাপাশি শার্ট, ডেনিম, গহনা, হ্যান্ডব্যাগ, ঘড়ি, প্রসাধনী, জুতা বা অন্যান্য পণ্য রিসেল (resell) শুরু করতে পারে। 

পুনর্বিক্রেতাদের (reseller) তাদের উপার্জন নিশ্চিত করার জন্য যা করতে হবে তা হল তারা যে পণ্যগুলি বিক্রি করছে সেগুলি যেন চাহিদা পূরণকারী এবং ভাল মানের হয়। 

৬. আপনার নিজের লাভের মার্জিন সেট করুন

রিসেলিং ব্যবসা হল আপনার নিজের মার্জিন বা লাভের পরিমান যোগ করে পণ্যটি পুনরায় বিক্রি করা। আপনি আপনার পণ্যদ্রব্যের দাম স্বাধীনভাবে সেট করতে পারবেন। যাইহোক, আপনি আপনার পণ্যের চূড়ান্ত মূল্য ঠিক করার আগে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এবং শিল্পমান অনুযায়ী আপনার পণ্যের খরচ পরীক্ষা করা বাঞ্ছনীয়। 

৭. শিপিং এর কোনো ঝামেলা নেই

অন্যান্য অনলাইন ব্যবসার মতো, এটি কোনও পরিবহনজড়িত ব্যবসা নয়। এটি বোঝায় যে আপনি যখন পণ্য রিসেলার হন তখন আপনাকে আপনার গ্রাহকের কাছে কিছু পাঠানোর প্রয়োজন নেই। আপনাকে শুধু বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বা এপ্লিকেশনগুলি থেকে আপনার পছন্দসই পণ্যগুলি বাঁচে নিয়ে সেগুলির লিংক গুলি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। 

অনলাইন পুনঃবিক্রয় ব্যবসা শুরু করার প্রক্রিয়া

১. ব্যবসার বৈশিষ্ঠসমূহ নির্ধারণ করা 

রিসেলিং একটি দূরবর্তী ব্যবসা (far-flung business) যেখানে আপনি একাধিক ধরণের পণ্য একসাথে বিক্রি করতে পারেন। সুতরাং, অনলাইন পুনঃবিক্রয় ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু দিক বিবেচনা করা একান্ত প্রয়োজন। 

(ক) রিসেলার (reseller) শিল্প

প্রথম সিদ্ধান্তটি যা আপনাকে নিতে হবে সেটি হল, আপনি রিসেলিং করার সময় কোন শিল্পে প্রবেশ করতে চান বা আপনি কোন ধরণের বা কোন ক্যাটাগরির পণ্য বিক্রি করতে চান। যদিও কোন সীমাবদ্ধতা নেই এবং আপনাকে যে কোনো ক্যাটাগরির পণ্যে লেন-দেন করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়, তবে রিসেলারদের কাছে পণ্যের অভিন্নতা বজায় রাখার সুপারিশ করা হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো রিসেলার ইলেকট্রনিক আইটেমগুলিতে কাজ করে, যেমন এয়ার কন্ডিশনার, হিটার, ফ্যান, লাইট ইত্যাদি, তিনি যদি এখন ইলেক্ট্রিকের জিনিসের সাথে পোশাক, পর্দা, বাথরুম আনুষাঙ্গিক গুলির মতো অন্যান্য পণ্যগুলি রেসিল (resell) করা শুরু করে, তাহলে এটি গ্রাহকদের কাছে মানানসই নাও লাগতে পারে।

(খ) লক্ষ্য শ্রোতা (Target Audience)

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা কখনই উপেক্ষা করা উচিত নয় তা হল আপনার লক্ষ্য শ্রোতাদের ওপর ফোকাস করা এবং আপনি যাদেরকে পণ্য রিসেল করবেন বলে ঠিক করেছেন তাদের উপর আরও মনোনিবেশ করা।

(গ) প্রতিযোগিতা বিশ্লেষণ (Competition Analysis)

বাহ্যিক বাজারের ব্যাপার, প্রতিযোগিতা এবং বর্তমান ব্যবসায়িক অনুশীলনগুলির গভীরভাবে বোঝার পরে নিজের ব্যবসার স্ট্রেটিজি সেট করুন। রিসেলিং এমন একটি ব্যবসা যেখানে ব্র্যান্ডিং এবং মূল্য নির্ধারণ সহ পণ্যের একটি ভিন্ন পরিসর পর্যন্ত বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন করা হয়। 

২. পণ্য সোর্সিং (Sourcing the Products)

রিসেলার্স (resellers)-রা যে পণ্যগুলি বিক্রি করতে চায় তারা সেগুলি ২ ধরণের উৎস থেকে পেতে পারে :-

(ক) স্থানীয় সোর্সিং চ্যানেল

কিছু কিছু রিসেলার অনলাইন পদ্ধতি বেছে নেওয়ার পরিবর্তে, তারা তাদের আশেপাশের এলাকা থেকে স্থানীয়ভাবে তাদের পণ্যদ্রব্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করে এবং তাদের এলাকার কাছাকাছি বিক্রি করে। সাধারণত, এই ধরণের ব্যবসায় উচ্চতর পণ্য-প্রতি লাভের মার্জিন বেশি হলেও বিক্রি কম হয়। এই চ্যানেলগুলির মফয়ে রয়েছে :-

  • আপনার নিজের আবাস
  • ফ্লি মার্কেটস(Flea Markets), সেন্ট্রাল মার্কেটস বা শপিং মল 
  • বন্ধু এবং পরিবার
  • খুচরো দোকান
  • ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম গ্রুপ 

(খ) রিসেলার অ্যাপস (reselling apps)

আজকাল, অনেক পুনর্বিক্রেতা বা রিসেলার এই পদ্ধতিতে বেশি বিশ্বাস করে, কারণ এটি সবচেয়ে সহজ এবং ট্রান্সপারেন্ট উপায়গুলির মধ্যে একটি যেখানে পুনর্বিক্রেতারা তাদের পণ্য কিনতে পারে। অনলাইন এই ধরণের অ্যাপগুলির একটি বিস্তৃত পরিসর উপলব্ধ রয়েছে। সেরা অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে একটি হল মিশো, যা ভারতে সেরা রিসেলার ব্যবসায়ের সুযোগ সরবরাহ করে। 

পুনঃবিক্রেতা বা রিসেলার একটি ক্যাটালগ (catalogue) নির্বাচন করে যা তারা অর্ডার করতে চায়। ক্যাটালগের ভিতরে, তারা যে পণ্যটি কিনতে চায় তা বেছে নেয় এবং এর সাইজ এবং পরিমাণ নির্ধারণ করে। একবার এটি কমপ্লিট হয়ে গেলে, তাদের ডেলিভারি ঠিকানা, তাদের নাম এবং ফোন নম্বর যোগ করতে হবে। পরবর্তী পদক্ষেপটি হল পণ্যগুলির দাম প্রদান করা এবং পে নাও (Pay Now)-এ ক্লিক করা। এইভাবে আপনি পণ্য রিসেল করার জন্য যে কোনো অনলাইন এপ্লিকেশন থেকে পণ্য অর্ডার করতে পারবেন।

অবশ্যই পড়বেন- বিগিনার (Beginner) দেড় জন্য ১১০+ টি নতুন ফ্রীলান্সিং আইডিয়া

৩. একটি যোগাযোগ চ্যানেল স্থাপন (Setting up a Communication Channel)

এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি যার সাহায্যে আপনার রেসলিং ব্যবসার গ্রাহকরা আপনার সাথে পণ্য সম্পর্কে যোগাযোগ করতে পারবে। 

ক) মিনি ওয়েবসাইট (Mini-Websites)

অসংখ্য ওয়েবসাইট আছে যার সাহায্যে আপনি বিনামূল্যে ছোট আকারের কোনো পার্সোনাল-ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটগুলি থিম (themes) এবং টেমপ্লেট (templates) সরবরাহ করে একটি ই-কমার্স (e-commerce) হিসাবে কাজ করে। আপনি কোনও কোডিং দক্ষতা ছাড়াই এই প্ল্যাটফর্মগুলি দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এরকম কয়েকটি ওয়েবসাইটের মধ্যে রয়েছে উইক্স(Wix), ইনস্টামোজো(Instamojo), উইব্লি(Weebly), ইয়োলা(Yola) ইত্যাদি। 

খ) ব্লগ (Blogs)

ওয়ার্ডপ্রেস(Wordpress), ব্লগার(Blogger), মিডিয়াম(Medium) বা ব্যক্তিগতকৃত ওয়েবসাইটে ব্লগ লিখে এবং পাবলিশ (publish) করে অনলাইন পুনঃবিক্রয় বা রেসলিং ব্যবসাকে দ্রুত বাড়াতে পারেন। আপনি সেই ব্লগে আপনার পণ্যের ছবি, স্পেসিফিকেশন এবং অন্যান্য মূল্যবান বিবরণ আপলোড করতে পারেন। 

গ) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম (Social Media Platforms)

রেসলিং ব্যবসা করে অর্থ উপার্জনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে ব্যবহার করা সবচেয়ে সম্ভাব্য এবং কার্যকর কৌশল যা, যে-কেউ অনুসরণ করতে পারে। আপনি সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলিতে আপনার পণ্যগুলি প্রদর্শন করতে পারেন এবং পণ্য গুলির ব্যাপারে কিছু গুরুত্যপূর্ণ জিনিস লিখে তার সাথে পণ্যটির লিংক জুড়ে দিলে সেই লিংকের মাধ্যমে অর্ডার পেতে পারেন। 

৪. কার্যকর বিপণন কৌশল (Effective Marketing Strategy)

আপনি যদি আপনার পণ্যটি কার্যকরভাবে বাজারজাত না করেন তবে আপনার রেসলিং ব্যবসা অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। এটি শুধুমাত্র রিসেলারের উপর নির্ভর করে যে তারা বাজারে তাদের পণ্যপ্রচার এবং বিক্রয় বাড়ানোর জন্য কী কী কৌশল গ্রহণ করবে। নীচে বিপণন কৌশলগুলির কয়েকটি তালিকাভুক্ত করা হল যেগুলি সাধারণত প্রায় সমস্ত রিসেলাররাই অনুসরণ করে :-

  • বিনামূল্যে বাড়িতে ডেলিভারি অফার করা 
  • স্বীকৃতি পেতে প্রাথমিকভাবে দুর্দান্ত ছাড় এবং অফার সরবরাহ করা
  • প্রতিযোগীদের চেয়ে কম মূল্য নির্ধারণ করা
  • গ্রাহকদের পর্যালোচনা, তাদের প্রতিক্রিয়া এবং প্রশংসাপত্র সম্পর্কে আপডেটেড থাকা
  • রেফারেল ডিসকাউন্ট
  • আপনার পণ্যের বৈশিষ্ট্য, স্পেসিফিকেশন, সুবিধা এবং মূল্য প্রদর্শন করে কার্যকরভাবে সেগুলিকে উপস্থাপনা করা।

৫. পেমেন্ট চ্যানেল স্থাপন (Establishing Payment Channels)

উপরে উল্লিখিত সমস্ত পদক্ষেপ অনুসরণ করলে আপনি গ্রাহকদের অবিচলিতভাবে আপনার পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারবেন, এবং তারা আপনার পণ্য গুলি কেনা শুরু করবে। একবার আপনি অর্ডার পেতে শুরু করলে, শেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি হল পেমেন্ট গ্রহণ করে। পেমেন্ট চ্যানেল গুলি স্থাপন করার সময় আপনি কিছু সমস্যা দেখতে পারেন, যেমন দেরিতে অর্থ প্রদান, প্রতিদিন পেমেন্ট রিমাইন্ডার পাঠানো এবং নির্বিঘ্নে অর্থ গ্রহণ করা। 

যাইহোক, একটি সমন্বিত পেমেন্ট সেটআপ করলে আপনি কোনো ঝামেলা ছাড়াই আপনার পেমেন্ট পেতে সক্ষম হবেন। অনলাইন রিসেলারদের জন্য সেরা পেমেন্ট চ্যানেলগুলির মধ্যে কয়েকটি হল রেজারপে(Razorpay), মাস্টারকার্ড(Mastercard), নেটপে ইন্টারন্যাশনাল(Netpay International), পেটিএম (Paytm)  ইত্যাদি।

৫ টি সর্বশ্রেষ্ট  রিসেলার ব্যবসার আইডিয়া

রিসেলারদের জন্য অনেক ব্যবসায়িক সুযোগ উপলব্ধ রয়েছে, তবে সর্বোপরি, আমরা ব্যাপক গবেষণার পরে বেস্ট ৫টি রিসেলার ব্যবসায়ের সুযোগগুলি আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আমরা আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে আমরা যে তালিকাতৈরি করেছি তা আপনার সমস্ত সমস্যার সমাধান করবে:

১. Apparels

সারা বিশ্বে পোশাক এবং জুতোর চাহিদা বাড়ছে। ভবিষ্যতে সময়ের সাথে সাথে এটি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি অনুমান করা হয়েছিল যে সারাবিশ্বে পোশাকের বাজার ২০১৬ সালের তুলনায় ৫.৪৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত পরের বছরগুলিতে একই রকম বৃদ্ধির হার দেখা গেছে। উপরন্তু, এটা ভবিষ্যদ্বাণী করে যায় যে আগামী বছরগুলিতে পোশাক এবং জুতার চাহিদা সারা বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাব্য বাজারগুলির মধ্যে একটি হবে। 

ব্যবসার এই ক্ষেত্রটিতে রিসেলিংয়ের ব্যবসা আপনাকে পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জন করতে সহায়তা করতে পারে। আপনি কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা রিসেলার অ্যাপ্লিকেশন থেকে পণ্যগুলি সংগ্রহ করার পরে আপনি এই পণ্যগুলি আবার বিক্রি করতে পারেন।

রেসলিং ব্যবসা করার উপায় হল, একবার আপনি একটি ভাল পরিমান রেগুলকার(regular) গ্রাহক  পেয়ে গেলে পরে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারেন। বিশেষ করে কোনো উৎসবের সময় আপনি পণ্যগুলির মূল্য বৃদ্ধিও করতে পারেন।

অবশ্যই পড়বেন- কিভাবে বাড়িতে বসেই টাকা ইনকাম করা সম্ভব ? ব্লগটি পরে জেনে নিন ফ্রীলান্সিংয়ের ১০ টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

২. Beauty and Wellness

প্রসাধনী এবং অন্যান্য বিউটি প্রোডাক্ট বিক্রি করা খুব লাভজনক। আপনার কাছে বিভিন্ন ধরণের বিকল্প রয়েছে যেমন, -- লিপস্টিক, ফাউন্ডেশন, নেইল পেইন্ট, নেইল পেইন্ট রিমুভার ইত্যাদি থেকে শুরু করে আপনি সব ধরণের বিউটি প্রোডাক্ট লেনদেন করতে পারেন, তা স্কিনকেয়ার হোক, চুলের প্রোডাক্ট ইত্যাদি। কিছু পণ্যে, মুনাফার মার্জিন অসাধারণ ভাবে বেশি। সেই আইটেমগুলির তালিকা প্রস্তুত করুন এবং প্রথমে সেগুলিই বিক্রি করা শুরু করুন। 

স্পষ্টতই, এই পণ্যগুলির চাহিদা সমস্ত বয়সের মহিলাদের এবং পুরুষদের মধ্যে চিরস্থায়ী। অতএব, আপনি ব্যবসার এই ক্ষেত্রটির বেপারে একবার ভেবে দেখতে পারেন। 

৩. Pet Supplies

আজকালকার জীবন মানসিক চাপ এবং উদ্বেগে পরিপূর্ণ। অন্যেকে আছে যাদের চাকরি বা পড়াশুনো সূত্রে বাড়ি-বন্ধু থেকে বহু দূরে থাকতে হয়, কথা বলার মতো কেও নেই। এর ফলে বাড়িতে পোষ্য প্রাণীর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ এটি প্রমাণিত যে পোষা প্রাণী, বিশেষ করে কুকুর এবং বিড়াল আমাদের মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং হতাশা হ্রাস করতে পারে। এটি একাকীত্ব হ্রাস করতে পারে, আপনার কার্ডিওভাসকুলার (হৃৎপিন্ড) স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং আপনাকে সব সময় হাসিখুশি রাখতে পারে। 

আপনি একজন পাইকার বা ডিস্ট্রিবিউটরের সাথে যোগাযোগ করে পোষ্য প্রাণী বিক্রি করতে পারেন এবং গ্রাহকদের আউটসোর্স করতে পারেন। অনেকে এই রিসলিং ব্যবসা শুরু করেছেন। ক্যানাইন, বিড়াল, মাছ এবং অন্যান্য পোষা প্রাণী বিক্রি ছাড়াও, লোকেরা তাদের খাদ্য সামগ্রী বিক্রির কাজও শুরু করে দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চিবানো ট্রিট, ক্যালসিয়াম হাড়, শুকনো বিড়ালের খাবার, মাছের ছররা ইত্যাদি। 

৪. Vehicle Accessories

এটি আপনার ব্যবসা শুরু করার অন্যতম লাভজনক ব্যবসায়িক সুযোগ। অটোমোবাইল সিট কভার, কার্ড ছেড়ে যাওয়া একটি ইরিডিসেন্ট গাড়ি, যানবাহনের অডিও সিস্টেম, হুইল অ্যালয়(oil), ট্রান্সমিটার, স্পিকারফোন, ক্রোম ফিনিশিং ইত্যাদি সহ সমস্ত ধরণের যানবাহনের আনুষাঙ্গিক গুলিতে লেনদেন আপনাকে বাজার বুঝতে সহায়তা করতে পারে। একবার আপনি যদি জানতে পারেন কোন পণ্যের সর্বোচ্চ চাহিদা আছে, সেই পণ্য উপর ফোকাস শুরু, এবং আপনার ব্যবসা চালিয়ে যান. 

৫. Jewelry

কোনো বিবাহ হোক বা কোনো উপলক্ষ, মেয়েদের গহনার চাহিদা সবসময়। এই ব্যবসাটি আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করে, কারণ কিছু লোক কৃত্রিম বিবাহের গহনা কেনে, অথবা কেউ কেউ মূল্যবান গহনা কিনতে পারে, তবে প্রায় সব মহিলাই অনুষ্ঠানগুলিতে এই আইটেমগুলি পরে। এই অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা আপনাকে অনেক অর্থ এনে দিতে পারে। 

অবশ্যই পড়বেন- চাকরির পাশাপাশি ছোটোখাটো ব্যবসা করেও টাকা ইনকাম করতে চান ? জেনে নিন এরকমি ১৬ টি সাইড-বিজনেসের ব্যাপারে।

রিসেলার অ্যাপগুলি (Reseller Apps) কীভাবে আপনাকে অর্থ উপার্জন করতে সহায়তা করতে পারে?

বেস্ট রিসেলার ব্যবসার সুযোগ গুলি খুঁজে বের করতে চান? রিসেলার অ্যাপগুলি ডাউনলোড করার পরে আপনি অনায়াসে পুনরায় বিক্রয় বা রিসেলিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনার ডিভাইসে এই অ্যাপগুলি ইনস্টল(install) করার পরে, সেগুলি দিয়ে সাইন আপ করুন এবং লাভের জন্য আইটেমগুলি কেনা এবং বিক্রি করা শুরু করুন। 

আপনি হয়তো ভাবছেন যে এই অ্যাপগুলি ডাউনলোড করার প্রয়োজনীয়তা কী? রিসেলার অ্যাপ্লিকেশনগুলি বা রিসেলার সংস্থাগুলি অনলাইন ক্রয় এবং বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনলাইন ক্রয় ও বিক্রয়ের ওয়েবসাইটগুলি থেকে সেরা পণ্যটি বেঁচে নিতে আপনার পক্ষে সমস্ত উপলব্ধ পণ্যের তালিকা পরীক্ষা করাটা সহজ করে তোলে। 

রিসেলিং অ্যাপ্লিকেশনগুলি আপনাকে সব থেকে বেশি চাহিদা সম্পন্ন রিসেলিং প্রোগ্রামগুলির সাথে যুক্ত হতে এবং কীভাবে অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা শুরু করতে হয় সে সম্পর্কে তাদের টিউটোরিয়ালগুলির (tutorials) মাধ্যমে আপনাকে শেখাতে সহায়তা করবে। উপরন্তু, এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি একটি রিসেলার ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করে, গ্রাহক এবং রিসেলারদের মধ্যে একটি নির্ভরযোগ্য এবং শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করে এবং রিসেলাদের মার্কেটিং কৌশল গুলির বিকাশ করতে সাহায্য করে। 

সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য রিসেলার অ্যাপস (Most Reliable Reseller Apps)

অবশ্যই পড়বেন- অল্প টাকায় ব্যবসার আইডিয়া যা আপনি শুরু করতে পারবেন আজই! অল্পদিনেই ব্যবসা থেকে লাভ আসবে নিশ্চিত

অনলাইন পুনঃবিক্রয় (reselling) ব্যবসা শুরু করার আগে বিবেচনা করার মতো বিষয়গুলি  কী কী ?

  • একটি কম প্রতিযোগিতার পণ্য নির্বাচন করুন
  • আপনি যদি একটি উচ্চ প্রতিযোগিতার পণ্য বাছাই করেন তবে সেই পণ্যের দাম আপনার সমস্ত প্রতিযোগীদের চেয়ে কম রাখুন।
  • পণ্যের গুণমান নিশ্চিত করুন এবং সেটি বজায় রাখুন
  • উচ্চ মার্জিন পণ্য বিক্রি করুন, মার্জিন যত বেশি হবে আপনার লাভের পরিমাণও ততই বেশি হবে

কোন রিসেলার পণ্যগুলি বিক্রি করা সবচেয়ে বেশি লাভজনক?

নীচে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কিছু কম খরচের পণ্য যা ২০২১ সালে উচ্চ মুনাফা মার্জিন সহ অনলাইনে বিক্রি করা হয়েছে :- 

  • বিউটি প্রোডাক্টস
  • টিভি এক্সেসরিজ
  • গহনা
  • বাচ্চাদের খেলনা
  • ডিজাইনার সানগ্লাস
  • মহিলাদের পোশাক
  • বাচ্চাদের আনুষ্ঠানিক পোশাক
  • ডিভিডি (DVDs)
  • কোমর বেল্ট, দুল, ব্যক্তিগতকৃত হুক ইত্যাদি সহ পুরুষদের আনুষাঙ্গিক
  • হ্যালোইন পোশাক এবং মুখোশ
  • মোজা এবং জুতা
  • নাইটওয়্যার (Nightwear)
  • বহিরঙ্গন আসবাবপত্র (Outdoor Furniture)
  • পুরুষদের বো টাই (Bow Ties) এবং পকেট স্কোয়ার (Pocket Square)
  • বই
  • ব্লুটুথ স্পিকার (Bluetooth Speaker)

ফ্র্যাঞ্চাইজি রিসেলার্স ব্যবসা কি লাভজনক?

অনেক সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি রিসেলার ব্যবসা খুব লাভজনক প্রমাণিত হয়। প্রথমে বোঝা যাক ফ্র্যাঞ্চাইজি রিসেলারদের ব্যবসা জিনিসটা ঠিক কী?

একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য একটি কোম্পানির কর্ম-পরিকল্পনা, ব্র্যান্ডের নাম, লোগো এবং আইটেম ব্যবহার করে বৃদ্ধি করাকেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসা বলে। এর জন্য একটি পারস্পরিক চুক্তি উভয় পক্ষের (কোম্পানি এবং ক্রেতা,   রিসেলারদের কথা বলা হয়েছে) দ্বারা স্বাক্ষরিত হওয়া প্রয়োজন। ক্রেতাদের নির্দিষ্ট শর্তাবলীর অধীনে কোম্পানির অধিকার এবং ব্র্যান্ড কেনার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূলধন সেই কোম্পানির  কাছে জমা রাখতে হয়। 

এই ব্যবসা সম্পর্কে সর্বোত্তম অংশ হল, এই ব্যবসায়িক মডেল সফল হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে উচ্চ কারণ যে কোনো ব্রান্ডের ইতিমধ্যে অনুগত ক্লায়েন্ট আছে, এবং ক্রেতাকে বিজ্ঞপনের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন নেই।

কয়েকটি সফল পুনর্বিক্রেতা ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসার নাম নিচে দেওয়া হল :-

১. খুচরা ব্যবসা ফ্র্যাঞ্চাইজি --

  • লেন্স কার্ট রিটেইল স্টোর (Lens kart Retail Store)
  • ল্যাকমে বিজনেস স্টোর (Lakme Business Store)
  • খাদিমস (Khadims)
  • ফার্স্ট ক্রাই এপারেল এবং পোশাক (First Cry Apparel and Clothing)

২. খাদ্য ও পানীয় আইসক্রিম ফ্র্যাঞ্চাইজি --

  • আমুল স্কুপ ফ্র্যাঞ্চাইজি (Amul Scoop Franchises)
  • জিয়ানির (Giani’s)
  • বাস্কিন-রবিন্স (Baskin-Robbins)

ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিতে পুনরায় বিক্রয়ের সুবিধা

  • এর সাথে জড়িত ঝুঁকি এবং বিপদ কম
  • কর্মনিষ্পত্তি পরিকল্পনার সাথে ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপগুলি পরিচালনা করা সহজ হয়ে যায়
  • বিজ্ঞাপন এবং মার্কেটিংয়ের প্রয়োজন নেই
  • আইটেম বা উপকরণ সরবরাহ সুদের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়
  • বিভিন্ন ব্যবসার সাথে যুক্ত হওয়ার সুযোগ

আপনার সাফল্যের চাবিকাঠি এবং রিসেলিং ব্যবসার মাধ্যমে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের জন্য আপনার উপার্জনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি শুধুমাত্র করে আপনি কতটা সময় বিনিয়োগ করেন এবং আপনার গ্রাহক সম্পর্ক কতটা শক্তিশালী তার উপর নির্ভর করবে। বিক্রয় বাড়াতে আরও গ্রাহক পাওয়া এবং গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জন করা অপরিহার্য। উপরন্তু, বিক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা আপনাকে বোনাস রাজস্ব অর্জন করে দেবে। সুতরাং, আজ থেকেই রিসেলিং-এর ব্যবসা শুরু করুন এবং  লাভবান হন। 

PS

Hi, I’m Pulak Sarkar, your go-to guide for living a vibrant, healthy, and financially thriving life! 🌟 My passion lies in helping others unlock their true potential by blending smart wellness tips with practical money-making strategies. Whether it’s achieving peak fitness, building wealth, or embracing a balanced lifestyle, I’m here to inspire and empower you every step of the way. Let’s create a life you love—healthy, wealthy, and full of possibilities! 💪💰✨

If you have any doubts or quarry, Please Let me know.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন