চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করার কথা ভাবছেন? জেনে নিন সেলফ-এমপ্লয়েড (Self-Employed) হওয়ার ৯ টি সুবিধে এবং অসুবিধে।

চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করার কথা ভাবছেন? জেনে নিন সেলফ-এমপ্লয়েড (Self-Employed) হওয়ার ৯ টি সুবিধে এবং অসুবিধে।

ফ্রিল্যান্সিং এবং সেলফ-এমপ্লয়েড হয়ে অতটাও গ্ল্যামারাস নয় যতটা লোকে এটাকে মনে করে। এটির সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার কথা ভাবছেন বা ফ্রিল্যান্সিংয়ে ব্যর্থ হলে কোনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন, তাহলে সেলফ-এমপ্লয়েড হওয়ার ভাল এবং খারাপ দিকগুলি জানার জন্য এই পোস্টটি পড়ুন। আশা করি, এই পোস্টটি আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

আপনি যদি ডিজিটাল জগতের লোকেদের সারাবিশ্ব ভ্রমণের ছবি দেখে থাকেন অথবা কোনো ফেসবুক পোস্টে অনেককে বলতে দেখেছেন যে ফ্রিল্যান্সিং একটি নিঃসঙ্গ রাস্তা। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করি, এটার পুরোটাই সত্য।

ফ্রিল্যান্সিং অনেক ভালো এবং খারাপ দিক নিয়ে আসে। যাইহোক, আমি এটিকে উভয়ের একটি ভারসাম্য হিসাবে দেখি। এটাতে অবস্যই কোনো চাকরিতে কাজ করার থেকে বেশি সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যেমন -

১. আপনাকে কখনোই আপনার বস (Boss)-এর  কাছে জবাবদিহি করতে হবে না


আপনি যেই চাকরিতেই কাজ করেন না কেন, সে এখন যাই হোক, সরকারি বা বেসরকারি, সবক্ষেত্রেই আপনাকে আপনার বসের কাছে জবাবদিহি হতে হবে। আপনি যদি কোনো চাকরিতে নিযুক্ত থাকেন তাহলে সেই চাকরিকে ধন্যবাদ জানান যার কারণে আপনি ফ্রীলান্সিংয়ের ভালো দিকগুলি দেখতে পাচ্ছেন, যেখানে আপনি নিজেই নিজের Boss বা মালিক।

কোনো চাকরিতে কাজ করার সময় আপনি কখনই দুর্দান্ত কাজ করতে পারবেন না। আপনি কীভাবে এমন জায়গায় কিভাবে কোনও কাজ ভালো ভাবে করতে পারেন যেখানে প্রতি কয়েক মিনিটে একজন বস(Boss) আপনার কাঁধে ঘোরাফেরা করেন, আপনার কাজের সমালোচনা করেন, আপনার সৃজনশীলতার প্রশংসা করেন না, কখনও আপনার ধারণাগুলি শোনেন না, এবং আপনাকে উদ্বিগ্ন বোধ করান।

সেলফ-এমপ্লয়েড হলে আপনাকে এর কোনোটি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আপনার ক্লায়েন্টরা আপনার ধারণাগুলিকে স্বাগত জানাবে, আপনার চিন্তাভাবনাকে সম্মান করবে এবং আপনাকে আপনার মতো করে কাজ করার স্বাধীনতা দেবেন।

কিন্তু, আপনাকে অবশ্যই আপনার ক্লায়েন্টদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে। 


অবশ্যই, যখন আপনি ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করছেন, তখনও আপনাকে সময়মতো কাজ সরবরাহ করতে হবে, সময়সীমা পূরণ করতে হবে, ক্লায়েন্টদের সমালোচনার মুখোমুখি হতে হবে এবং ভুল সংশোধন করতে হবে।

কিন্তু, ইটা কখনোই ভাববেন না যে আপনার ক্লায়েন্টরা আপনার বস।মনে রাখবেন আপনার বস আপনি নিজেই !

আপনি যদি মনে করেন যে কোনও ক্লায়েন্ট আপনাকে ভুলভাবে ব্যবহার করছে, আপনার পারিশ্রমিক নিয়ে হেরফের করছে, অথবা আপনাকে হতাশাগ্রস্ত বোধ করাচ্ছে , আপনি তাদের বরখাস্ত করতে পারেন বা তাদের হয়ে কাজ নাও করতে পারেন। তাদের পরিবর্তে অন্য ক্লায়েন্ট খুঁজুন। ইটা অতটাও কঠিন কাজ নয়।

২. আপনি অনেক বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন


অনেক ফ্রীলান্সার চেন যারা ফ্রীলান্সিং করে তাদের আগের চাকরির থেকে ১০-২০ গুন্ বেশি  করে। শুনে অসম্ভম মনে হলেও এটাই সত্যি। ফ্রীলান্সিং বাজারে পা না রাখলে বাইরের থেকে এটা অসম্ভমই মনে হবে। 

সাধারণ চাকরির ১০-২০গুন টাকা বেশি টাকা ইনকাম করার মতো স্টেজে যেতে আপনার বেশ কিছুটা সময় লাগতে পারে, তবে আপনি অন্য যে কোনও চাকরির চেয়ে ফ্রিল্যান্স কাজ করে অনেক বেশি উপার্জন করতে পারবেন।

যতক্ষণ আপনি ফ্রীলান্সিং কাজের সাথে কমফোর্টেবল বোধ করবেন এবং নতুন দক্ষতা শিখে আপনার পরিষেবাগুলি উন্নত করতে থাকবেন, ততক্ষন আপনি সেলফ-এমপ্লয়েড হয়ে বেশ মোটা টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আমি এটা গ্যারান্টি দিচ্ছি।

কিন্তু, এটাতে কোন গ্যারান্টিযুক্ত ফিক্সড (Fixed) মাসিক বেতন নেই


যদি না আপনি একটি স্টার্টআপ বা কোনো একটি পূর্ণ-সময়ের ফ্রিল্যান্সিং (full-time freelancing) কোম্পানিতে একটি ফ্রীলান্সার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করছেন, আপনার কোনো ফিক্সড বা নির্ধারিত মাসিক বেতন থাকবে না। কোনো মাসে বেশি ইনকাম হতে পারে আবার কোনো মাসে কমও হতে পারে।

সাধারণত ফ্রীলান্সাররা একটি ক্লায়েন্টের কাজ শেষ করে আবার নতুন ক্লায়েন্টের খোঁজে লেগে পরে। ইটা খুব বিরক্তিকর কাজ এবং এতে সাফল্যের হার ও খুব কম থাকে। কিন্তু, আপনি দীর্ঘমেয়াদী ক্লায়েন্ট এবং প্রকল্পগুলির সাথে কাজ করে এই সমস্যা গুলি এড়াতে পারেন। এতে আপনাকে বেশ কিছু সময়ের জন্য নতুন ক্লায়েন্ট খোঁজার ঝামেলা করতে হবে না।

৩. নিজের সুবিধা মতো যে কোনো সময়ে কাজ করা


আপনি সকাল ১০ তাই ঘুম থেকে উঠুন বা দুপুর ২ টায়, ফ্রীলান্সিংয়ে আপনার যখন ইচ্ছে আপনি তখন কাজ করতে পারেন।

আমি সকালে ঘুম থেকে ওঠার মানুষ নই এবং আমি সকালে ঘুম থেকে উঠতে সবসময় ঘৃণা করতাম। এটা বুঝতে আমার কিছুটা সময় লেগেছিল যে আমি একটি রাতের পেঁচা। আমি রাত জেগে কাজ করতে ভালোবাসি।

একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে, আমি যে কোনও সময় কাজ করতে পারি। কাজ করতে দেরি হবে জন্য আমাকে চিন্তা করতে হয় না এবং আমার বসকে আমার দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য একটি ভুয়া গল্প বানাতেও হয় না।

ভাবে করে পর্যবেক্ষণ করলে লক্ষ্য করবেন যে, সকালে ঘুম থেকে উঠে নাকে-মুখে খাবার ঠুসে কাজের জন্য দৌড়াতে হয় বলেই অনেকে চাকরি করাটা ​পছন্দ করে না।

কিন্তু, আপনাকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে


আপনার নিজেই নিজের বস হওয়া অনেক দায়িত্ব নিয়ে আসে। আপনাকে প্রতিদিন আপনার কাজগুলি শেষ করতে হবে, বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের পরিচালনা করতে হবে, আপনার কাজের প্রোগ্রেসের বিষয়ে ক্লায়েন্টদের আপডেট করতে হবে, চালান ইস্যু করতে হবে, পারিশ্রমিক পরিচালনা করতে হবে এবং আরও অনেক কিছু করতে হবে, এই সব কাজ গুলি করতে হবে আপনাকে নিজেকেই।

সুতরাং, আপনি সম্ভবত ৯ থেকে ৫ কাজের চেয়ে বেশি ঘন্টা কাজ করতে বাধ্য হবেন। কিন্তু এখনই ভয়ে পিছিয়ে যাবেন না।  এই কাজের আপনি ভালো দাম পাবেন।

৪. ফিউচার-প্রুফ ক্যারিয়ার


সাম্প্রতিক মহামারী পরিস্থিতিতে প্রায় সমস্ত রকম অফিস ওয়ার্ক বা অন্য কাজগুলি সবই হচ্ছে বাড়িতে বসে, অনলাইন। এর অর্থ তাদের সমস্ত কর্মচারীরা এখন বাড়ি থেকে কাজ করে অথবা তারা বিদেশ থেকে দূরবর্তী কর্মী নিয়োগ করে।

এটি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য দুর্দান্ত খবর কারণ এর ফলে সারা বিশ্বের ফ্রীলান্স কর্মীদের জন্য আরও নতুন কাজ এবং চাকরির সুযোগ খুলবে।

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে, আমরা অবশ্যই ফ্রিল্যান্স কর্মীদের সংখ্যা এবং শিল্পে উপলব্ধ চাকরির সংখ্যায় বেপক বৃদ্ধি দেখতে পাব।

কিন্তু, তুমি বাড়িতে আটকে থেকে যাবে


অবশ্যই, একজন দূরবর্তী কর্মী বা ফ্রীলান্সার হিসাবে আপনি অফিসে ভ্রমণ করতে এবং আপনার সহকর্মী এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে পারবেন না।

অন্তর্মুখী বা ইন্ট্রোভার্টসদের জন্য এটি একটি আদর্শ পরিস্থিতি। তবে বহির্মুখী বা এক্সট্রোভার্টসদের এই পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেওয়াটা একটু কঠিন হবে। কিন্তু আপনি যদি এই লকডাউনে মহামারী থেকে বেঁচে যান, তবে দূরবর্তী অবস্থানে স্যুইচ করা খুব কঠিন হবে না।

৫. আপনি আরও উৎপাদনশীল হবেন


গবেষণা অনুযায়ী, বাড়ি থেকে কাজ করলে কর্মচারীদের কাজের কর্মক্ষমতা 13% উন্নত হয়, কারণ বাড়িতে বসে নিজুয়ের মতো করে কাজ করলে মানসিক এবং শারীরিক চাপ কম থাকে, এবং মনোবল বৃদ্ধি পায়।

সেলফ-এমপ্লয়েড হলে আপনি নতুন নতুন কাজের জন্য আবেদন করতে এবং আপনার নিজের গতিতে কাজ করতে সক্ষম হবেন। তাড়াহুড়ো না করে কাজগুলি সম্পূর্ণ করতে আপনার সময় নিন। এবং আপনার পোষা প্রাণী বা এমনকি ভিডিও গেমগুলির সাথে খেলা করুন, এতে আপনার মস্তিস্ক চাপমুক্ত থাকবে এবং আপনার প্রোডাক্টিভিটি এবং ক্রিয়েটিভিটি বাড়বে।

ক্লায়েন্টরা আপনাকে যে কাজগুলি করতে দেবে, নিশ্চই সেগুলি ডেলিভার করার একটি ডেডলাইন থাকবে। কিন্তু, যখন আপনি আপনার কর্মক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এবং নিজের সময়মতো কাজ করার স্বাধীনতা পাবেন, তখন আপনাকে এই সব ডেডলাইন নিয়ে ততটা চিন্তা করতে হবে না।

কিন্তু, আপনার কাজে অনেক ডিস্ট্রাকশন্স থাকবে


এছাড়াও কিছু বিভ্রান্তিবা ডিস্ট্রাকশন্স থাকবে, যেমন যখন কোনও বন্ধু অঘোষিতভাবে আপনার সাথে দেখা করতে আসে বা যখন আপনাকে অতিথি এবং আত্মীয়দের সাথে সময় কাটাতে হয়। অথবা যখন বাচ্চারা স্কুল থেকে ফিরে এসে চিৎকার করে আপনার বাড়ির চারপাশে দৌড়াতে শুরু করে।

অবশ্য, একটি ভাল নয়েস কেন্সলেশন হেডফোন আপনাকে বাইরের এই কোলাহল থেকে দূরে রাখতে সাহায্য কোনো পারে।

৬. নিজের ইচ্ছেমতো ভ্রমণের স্বাধীনতা


একজন অন্তর্মুখী বা ইন্ট্রোভার্ট হিসাবে আমি সবসময় আমার নিজের সঙ্গ উপভোগ করি এবং আমি বাড়িতেই থাকতে বেশি ভালবাসি। আমার ক্ষেত্রে ভাল সময় কাটানো এবং জীবন উপভোগ করার সংজ্ঞা হল বাড়িতে থেকে নিজের কাজ করা, একটি ভাল বই পড়া, লেখা, আমার প্রিয় গেম খেলা বা সিনেমা দেখা।

যদিও, অনেক মানুষ আছেন যারা ভ্রমণ-পিপাসু, যারা বিশ্ব ভ্রমণ করতে চান, নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। ফ্রিল্যান্সিং এই স্বপ্ন পূরণের একটি দুর্দান্ত উপায়। আপনি ফ্রীলান্সিং একই সময়ে কাজ এবং ভ্রমণ করতে পারেন, কারণ এই কাজটি যে কোনো অফিসে বসেই করতে হবে তার কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই।

কিন্তু, আপনি সম্ভবত সফল নাও হতে পারেন


আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, ফ্রিল্যান্সারদেরও অনেক দায়িত্ব সামলাতে করতে হয়। সুতরাং, এমনকি যখন আপনি ভ্রমণ করেন, আপনাকে সময়মতো কাজ সরবরাহ করতে দীর্ঘ সময় কাজ করতে হবে।

স্পষ্টতই, আপনি যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করছেন তখন উৎপাদনশীল ভাবে কাজ করা একটু কঠিন হয়ে ওঠে। যাইহোক, প্রচুর লোক আছে যারা ভ্রমণ করার পাশাপাশি খুব স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করে।

৭. আপনার নিজের ব্যবসা শুরু করুন


ফ্রিল্যান্সিং অনেকটা আপনার নিজের ব্যবসা চালানোর মতো। সম্ভবত এই কারণেই অনেক ফ্রিল্যান্সার প্রায়শই তাদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করে।

বিখ্যাত ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে একজন হলেন Brian Casel, যিনি আমার একজন আইডল । তিনি একজন ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডিজাইনার ছিলেন। তারপরে তিনি বিভিন্ন রেস্তোঁরা সহ বড় বড় হোটেলগুলিতে ওয়েব ডিজাইন এবং বিপণন পরিষেবা সরবরাহ করে তার পরিষেবাকে একটি পণ্য ব্যবসায় পরিণত করেছিলেন। তিনি এই পরিষেবা দুটির মাধ্যমে অনেক অর্থ উপার্জন করেছেন এবং এখন একটি সামগ্রী বিপণন ব্যবসা (content marketing business) চালাচ্ছেন।

সুতরাং, আপনিও ফ্রীলান্সিং এর পাশাপাশি একটি বুজনিনেস পরিষেবার মধ্যে দিয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন।

কিন্তু, আপনি কি ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক?


একটি ব্যবসা শুরু করার জন্য সেলফ-এমপ্লয়েড হওয়ার চেয়েও অনেক বেশি দায়িত্ব সামলাতে হয়। কর্মীদের একটি দল পরিচালনা করা সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।

এছাড়াও, একটি ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করা এবং আপনার স্বাচ্ছন্দ্যঅঞ্চল (Comfort zone) ছেড়ে একটি নতুন কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া, যেখানে কাজের চাপ এবং দায়িত্ত আগের তুলনায় অনেক বেশি, একটি ঝুঁকি যা বেশিরভাগ মানুষ নিতে ইচ্ছুক নয়।

৮. পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারবেন


আমার মনে আছে, আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমি আমার বাবা-মায়ের সাথে অনেক কথা বলতাম। স্কুলে ঘটে যাওয়া সমস্ত উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে তাদেরকে বলতাম। কিন্তু, বেশিরভাগ দিন, তারা কাজ থেকে দেরিতে বাড়ি ফিরতেন, প্রায়শই কিটকিতে মেজাজে থাকতেন এবং ক্লান্তির কারণে সোজা বিছানায় শুয়ে পড়তেন।

আমি একটি খুব ভালো মতো জানি যে বেশিরভাগ পিতামাতা তাদের কর্মব্যস্ত চাকরির কারণে তাদের বাচ্চাদের সাথে যথেষ্ট সময় কাটাতে না পারার জন্য অনুতপ্ত।

সেলফ-এমপ্লয়েড হওয়া আপনাকে এই সমস্যাটি সমাধান করতে সহায়তা করবে। আপনি আপনার বাচ্চাদের বা স্বামী/স্ত্রী-কে এবং এমনকি আপনার পোষা প্রাণীদের সাথে আরও বেশি সময় কাটাতে পারবেন। এবং আপনি আরও ভাল প্যারেন্ট / পার্টনার হয়ে উঠবেন।

কিন্তু, এটা আপনাকে নিঃসঙ্গও করে দিতে পারে


ফ্রিল্যান্সিংয়ের একটি খারাপ দিক হল আপনার কাজ বোঝার মতো লোকের সংখ্যা খুব কম। এর ফলে, মাঝে মাঝে আপ[নার নিজেকে নিঃসঙ্গ মনে হতে পারে।

কখনও কখনও, আমার বন্ধুরা জিজ্ঞাসা করে যে আমি কীভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করি। তারা বুঝতে পারে না কীভাবে সৃজনশীল কাজ আপনার মানসিক শক্তিকে নিষ্কাশন করতে পারে।

বিশেষ করে আমার দেশে, একটি স্থায়ী চাকরি এবং মাসিক বেতন থাকাই একমাত্র কারণ যা লোকেরা একজন ব্যক্তির চরিত্র বিচার করার সময় বিবেচনা করে। তারা পরোয়া করে না যে আপনি কম বেতনের সরকারী চাকরিতে কতটা দুর্দশাগ্রস্ত কাজ করছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি মাসের শেষে বেতন পান ততক্ষন আপনি একজন ভদ্র-ভালো মানুষ।

৯. আর্থিক স্বাধীনতা


ফ্রিল্যান্সিং একজনকে আর্থিক স্বাধীনতা খুঁজে পাওয়ার মতো সুবিধা প্রদান করে।

অনেকে আছেন যারা অনলাইন কাজ করে কোনো চাকরির তুলনায় ১০-২০গুন্ বেশি অর্থ উপার্জপন করে।

কিন্তু, এটাতে অনেক পরিশ্রমের প্রয়োজন


নিজের ইচ্ছেমতো জিনিস কেনা বা নিজের স্বপ্নগুলো পূরণ করার মতো স্বাধীনতা পেতে আপনাকে অনেক পি[পরিশ্রম করতে হবে।

আমি আমার প্রথম $২০০ উপার্জন করার আগে, আমি প্রতিদিন এখানে সেখানে খুব কম পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে কাজ করেছি। তবে আমি ধারাবাহিক ছিলাম এবং একটি লক্ষ্য মাথায় রেখে কঠোর পরিশ্রম করেছিলাম। অবশেষে, আমি সেখানে পৌঁছেছি।

অনলাইনে কাজ করার সময় আপনি আর্থিকভাবে স্বাধীনও হতে পারেন, তবে এতে নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন হবে। আপনি কি এই চ্যালেঞ্জটি নিতে ইচ্ছুক? আপনি কি পারবেন আপনার স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে ?

বিবেচনা করার আরও একটি কারণ


যদিও, এই ভাল বা খারাপ কোনটিই আপনার খুশির থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।

বাড়ি থেকে আরামে কাজ করা এবং আপনি যে কাজ টি ভালবাসেন তা থেকে আপনি যে আনন্দ এবং সুখ পান তা এমন কিছু যা আপনি কখনই দাম দিয়ে কিনতে পারবেন না।

এই কাজে আপনার বা আপনার পরিবারের সুখ-শান্তির জন্য আপনাকে কোনো কিছু স্যাক্রিফাইস বা ত্যাগ করতে হবে। আপনি সেলফ-এমপ্লয়েড হয়ে সুখী জীবন যাপন করতে পারবেন।
PS

Hi, I’m Pulak Sarkar, your go-to guide for living a vibrant, healthy, and financially thriving life! 🌟 My passion lies in helping others unlock their true potential by blending smart wellness tips with practical money-making strategies. Whether it’s achieving peak fitness, building wealth, or embracing a balanced lifestyle, I’m here to inspire and empower you every step of the way. Let’s create a life you love—healthy, wealthy, and full of possibilities! 💪💰✨

If you have any doubts or quarry, Please Let me know.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন